তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় প্রকাশ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন ভাঙড়ের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তারপর সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রকাশ্যেই গলা ধরে এল আরাবুল ইসলামের। কান্নায় ভেঙে পড়লেন দাপুটে নেতা।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। দলনেত্রী তালিকা প্রকাশ করতেই দেখা যায়, ভাঙড় বিধানসভা আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মহম্মদ রেজাউল করিমকে।
প্রসঙ্গত, একসময়ের বামেদের গড় বলে পরিচিত ভাঙড়ে ২০০৬ বিধানসভা নির্বাচনে আরাবুলের হাত ধরেই প্রথমবার জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর ২০১১ সালে আবার সিপিআইএম-এর বাদল মজুমদার জিতলেও, ২০১৬-তে আসনটি আবার তৃণমূলের দখলে আসে। জয়ী হন সিপিআইএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা।
এদিন প্রার্থী তালিকায় ভাঙড় আসন থেকে তাঁর নাম নেই, দেখার পরই ফেসবুকে আরাবুল প্রথমে লেখেন, “দলের আজকে আমার প্রয়োজন ফুরালো।” এরপরই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে খোলাখুলি তিনি বলেন, “হাজারে হাজারে মানুষ খবর পেয়ে এখানে আমার বাড়িতে চলে এসেছে। আমি শুধু একটা কথা বলব, ভাঙড়ের মানুষের নিয়েই আমি আরাবুল ইসলাম। আজকে বুথ থেকে উঠে আসা মানুষ, তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েছে। আজকে শুধু একটা কথা বলতে চাই যে, এই দলটাকে বুকে আঁকড়ে ভাঙড়ের সাধারণ মানুষের পাশে থেকে লড়াই করেছি। ভাঙড়ের মানুষ আজকে যেটা বলবে, আমি সেইটাই করব।
একথা বলতে বলতেই গলার স্বর ভারী হয়ে আসে আরাবুল ইসলামের। সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ঘনিষ্ঠ মহলে ‘এই দল আর করব না’, বলেও ক্ষোভপ্রকাশ করতে শোনা যায় আরাবুলকে। এমনকি টিকিট না পেয়ে ‘দিশেহারা’ আরাবুল নিজের পার্টি অফিসেই ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। শুধু আরাবুল কেন, টিকিট না পেয়ে হতাশদের দলে রয়েছেন দীপেন্দু বিশ্বাসও।
Be the first to comment