স্বপ্ন কিংবা ইচ্ছে পূরণের ক্ষেত্রে বয়স যে কোন বাধা নয় তা প্রমাণ করলেন রাজ কুমার বৈশ্য। সম্প্রতি ৯৮ বছর বয়সে তিনি পাটনার নালন্দা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করলেন অর্থনীতির মতো জটিল বিষয়ে। ২০১৫ সালে, নালন্দা ওপেন ইউনিভারসিটি-তে ভর্তি হন বর্ষীয়ান রাজকুমার। বয়সের ভারে ন্যুব্জ তাঁর দেহ। কিন্তু, মন এখনও তরতাজা। এবং অত্যন্ত দৃঢ় তাঁর মানসিকতা।
উত্তরপ্রদেশের বরেলির বাসিন্দা ৯৮ বছর বয়সি রাজকুমার বৈশ্য। ১৯৩৮ সালে, আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকনমিকস নিয়ে গ্রাজুয়েট হন তিনি। এর পরে, ১৯৪০ সালে আইন পাস করেন। কিন্তু, পরিবারের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি রাজকুমার। কালের নিয়মেই তার পরে চাকরি, সংসার সামলে রাজকুমার কর্মজীবন থেকে অবসর নেন ১৯৮০ সালে। গত ১০ বছর ধরে ছোট ছেলে সন্তোষকুমারের সঙ্গে থাকেন ঝাড়খণ্ডের রাজেন্দ্র নগরে।
২০১৫ সালে, নালন্দা ওপেন ইউনিভারসিটি-তে ভর্তি হন বর্ষীয়ান রাজকুমার। ইকনমিকস-এ এমএ ডিগ্রিটা যে তাঁর চাই। এবং তাঁর এই স্বপ্নপূরণের ইচ্ছেটাই তাঁকে লিমকা বুক অফ রেকর্ডস-এ জায়গা করে দিয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেঘালয়ের গভর্নর গঙ্গা প্রসাদ এই ডিগ্রি তাঁর হাতে তুলে দেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করার। অনেক পরিশ্রম করেছি এই ডিগ্রি অর্জনের জন্য। এখন আমি খুশি।’
বয়সের কারণে মুখে ভাঁজ পড়েছে অনেকদিন আগেই। কিন্তু সার্টিফিকেট পাওয়ার পর প্রবীণ এই শিক্ষার্থীর মুখে দেখা দেয় আত্মতৃপ্তির ছাপ। এসময় তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু কেরিয়ারের পেছনে ছুটবে না; তার আগে পড়াশোনা শেষ করো।
রাজ কুমার বৈশ্যর ছেলে পাটনার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সন্তোষ কুমার বলেন, বাবার স্বপ্নপূরণ হওয়ায় আমরাও অত্যন্ত খুশি।
তথ্য ও ছবি সূত্র থেকে প্রাপ্ত
Be the first to comment