ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রামঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে নন্দীগ্রামে জনসভায় বক্তব্য রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন আমি নাও দাঁড়াতে পারি। আর যদি আপনাদের মনে হয় তবেই আমি মনোনয়ন জমা করব।’ তিনি জানান, এবারে সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রামের মধ্যে যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি বলেন, ‘আমাকে কেউ কেউ বহিরাগত বলছেন। তুমি নন্দীগ্রামের লোক আর আমি বীরভূমের এটুকুই তফাৎ। বহিরাগত হলে আমি মুখ্যমন্ত্রী হলাম কীকরে?’

এদিন মমতা বলেন, অনেকে ভাগাভাগির কথা বলবেন ৷ আমি ৭০-৩০ বলব না ৷ আমি 100 বলব ৷” অর্থাৎ, বারবার বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে তিনি শুধু মুসলিম বা শুধু হিন্দুদের কথা বলেন না ৷ তিনি রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কথা ভাবেন ৷ তাঁর সঙ্গে যেন হিন্দু কার্ড খেলার দুঃসাহস বিজেপি না দেখায়, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে গেলেন মমতা ৷

এর আগে দিল্লি থেকে আসা বিজেপি নেতাদের বারবার বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা ৷ এবার নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার আগে তাঁর নামে বেশ কিছু পোস্টারও পড়েছিল ৷ যাতে লেখা ছিল, নন্দীগ্রাম তার ভূমিপুত্রকেই চায়, বহিরাগতদের চায় না ৷ বহিরাগত বলতে যে এখানে তৃণমূলের সুপ্রিমোকে বোঝানো হয়েছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ সেই পোস্টারের কথা যে মমতার কান পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে, সেই কথাও আজ তাঁর কথায় স্পষ্ট ৷ নেত্রীকে আজ বলতে শোনা গেল, যদি নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁকে নিজেদের ঘরের মেয়ে বলে মনে করেন, তবেই তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন ৷

নন্দীগ্রামে তিনি যে একটি বাড়ি এক বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছেন সেই কথাও জানিয়ে দিলেন তিনি ৷ প্রতিশ্রুতি দিলেন, প্রতি তিন মাসে একবার করে আসবেন ৷ পরে নিজের একটি কুঁড়েঘর করে নেবেন বলেও নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে বললেন তিনি ৷ এতদিন তিনি যে ভবানীপুর থেকে লড়েছেন, সেই ভবানীপুরের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে এনে আগামীদিনে নতুন কেন্দ্রকেও মডেল নন্দীগ্রাম করার প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ আশ্বাস দিলেন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়েরও ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*