নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে চোট পাওয়ার পরই চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতার সেই অভিযোগ শুরুতেই খণ্ডন করে দিয়েছিলেন বিজেপির এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। দাবি তুলেছিলেন সিবিআই তদন্তের। শুধু তাই নয়, মমতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকজনকে প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে তাঁদের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলেও দেয় গেরুয়া শিবির। যেখানে কারও ধাক্কা মারার অভিযোগ খণ্ডন করা হয়।
কিন্তু তৃণমূল তা মানতে নারাজ। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পর মমতার উপর আঘাতের পূর্বাভাস ছিল বলে দাবি করেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শাসক দলের পাল্টা এবার কমিশনে গেল গেরুয়া শিবিরও। আর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তোলে তাঁরা।
এদিন কমিশনে যান বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত ও শিশির বাজোরিয়া। কমিশনের অফিসের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সব্যসাচী অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আনুক নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।’
গতকালের ঘটনার পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, কোনও পুলিশ ছিল না। এসপি, ডিএম-রা ছিলেন না। যদিও মমতার এই অভিযোগ নিয়ে পালটা প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
সব্যসাচীর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে বলছেন, এসপি ছিল না? প্রার্থীর সঙ্গে ডিএম, এসপি থাকে না, সেটা কি মুখ্যমন্ত্রী জানেন না?মুখ্যমন্ত্রী যে এখন প্রার্থী, সেটা ভুলে গেলে চলবে না।’
অপরদিকে, শিশির বাজোরিয়ার দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে অ্যাম্বুল্য়ান্স, চিকিৎসক থাকার কথা। কেন তা ছিল না? আমরা অনুরোধ করব, মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিন। বাংলার মানুষের নিরাপত্তা নেই, কিন্তু ওনার থাকা উচিত।’
বস্তুত বুধবারের ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। দিকে-দিকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে এরই মাঝে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। শুধু তাই নয়, গতকাল মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে এলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়েছে।
Be the first to comment