নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত লাগার পর প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেল৷ কিন্তু এখনও মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনও খোঁজ নেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আহত হওয়ার পরেও কেন প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চুপ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়৷
এ দিন তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে সৌগতবাবু বলেন, ‘দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার নেত্রী আহত হলেন৷ অথচ তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনও সহানূভূতির বার্তা দিলেন না বা ফোন করে এতটা খবরও নিলেন না৷ এটা আমাদের কাছে খুবই আশ্চর্যজনক লেগেছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীর আহত হওয়ার ঘটনাকে এ ভাবে অবহেলা করা যায়?’
তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো এই সৌজন্যটুকু দেখাতে পারতেন৷’
এ দিন রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রীর করা একটি মন্তব্যকেও হাতিয়ার করেন সৌগতবাবু৷ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, মমতাজির স্কুটি নন্দীগ্রামে উল্টে যাবে৷ তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন আমরা জানিনা৷ ‘
শুধু প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নীরব থাকাই নয়, বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী যে মন্তব্য করেছিলেন, তারও তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়৷ তাঁর অভিযোগ, নীচ মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷
বুধবারের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেই বেশি করে সরব হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে গিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ জানাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল৷ পাশাপাশি, বুধবারের ঘটনায় দুর্ঘটনার তত্ত্বকেও খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷
Be the first to comment