মনোনয়ন পেশের দিন মমতার চোট নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু

Spread the love

আজ মনোনয়ন পত্র পেশ করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী ৷ হাইভোল্টেজ আসনে মনোনয়ন পেশের দিনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও পাশে পেলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু ৷ তাঁর পাশে দেখা গেল কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ৷

অন্যদিকে মনোনয়নপত্র পেশের দিনই পায়ে চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ, শুক্রবার নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন ‘ঘরের ছেলে’ শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সকালেই নন্দীগ্রামে সিংহবাহিনী ও জানকীনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে শুভেন্দু শেষমেশ মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট পাওয়ার ঘটনা নিয়ে। এদিন চমকে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমি অরাজনৈতিক বিষয়ে কোনও উত্তর দেব না। গত ১৮ জানুয়ারি তেখালির মাঠে দাঁড়িয়ে মমতা যখন হঠাতই নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন, তারপর থেকেই শুভেন্দুর গলায় একটাই শব্দ, ‘মাননীয়া, আপনাকে হারাবই, হারাবই, হারাবই। সেই শপথ নিয়েই অবশ্য এদিন মনোনয়ন জমা দেন শুভেন্দু।

মনোনয়ন জমার দিনই শুভেন্দু ফের নিজের জেতার বিষয়ে যে তিনি নিশ্চিত, তা আবারও উল্লেখ করেন তিনি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘এই মাঠ চেনা, পুরনো প্লেয়ার আমি, শুধু ঝাণ্ডাটাই নতুন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটিড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। মানুষ তার জবাব দেবেই। তৃণমূলে পিসি-ভাইপো ছাড়া কারও মর্যাদা নেই। তৃণমূলে বাকি সবাই ল্যাম্পপোস্ট।’

এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধানরা। বৃহস্পতিবার, শিবরাত্রি উপলক্ষে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় বাবা ত্রিলোকেশ্বর মহাদেবের মন্দির সহ আরও বেশ কয়েকটি মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। গতকাল সারা দিন মন্দির মন্দিরে ঘুরলেও নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘আক্রমণ’ নিয়ে চুপ থেকেছেন তিনি। এদিন অবশ্য মুখ খুললেন, কিন্তু সম্পূর্ণই এড়িয়ে গেলেন।

মনোনয়ন জমার দিনই শুভেন্দু ফের নিজের জেতার বিষয়ে যে তিনি নিশ্চিত, তা আবারও উল্লেখ করেন তিনি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘এই মাঠ চেনা, পুরনো প্লেয়ার আমি, শুধু ঝাণ্ডাটাই নতুন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটিড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। মানুষ তার জবাব দেবেই। তৃণমূলে পিসি-ভাইপো ছাড়া কারও মর্যাদা নেই। তৃণমূলে বাকি সবাই ল্যাম্পপোস্ট।’

শুভেন্দুর সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধানরা। বৃহস্পতিবার, শিবরাত্রি উপলক্ষে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় বাবা ত্রিলোকেশ্বর মহাদেবের মন্দির সহ আরও বেশ কয়েকটি মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। গতকাল সারা দিন মন্দির মন্দিরে ঘুরলেও নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘আক্রমণ’ নিয়ে চুপ থেকেছেন তিনি। এদিন অবশ্য মুখ খুললেন, কিন্তু সম্পূর্ণই এড়িয়ে গেলেন।

দীর্ঘদিনের দলনেত্রীকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন শুভেন্দু। বলেছেন, ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হারাবেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার পর যেভাবে কার্যত বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, তখন কেন চুপ করে আছেন শুভেন্দু? যদিও বিজেপির একটা অংশের দাবি, বিষয়টাকে গুরুত্বহীন করে দিতে চাইছে বিজেপি। সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের মতো নেতারা এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। সেই একই পথ নিয়েছেন শুভেন্দুও। যদিও বিজেপির তরফে কখনও সিবিআই তদন্ত, কখনও বা উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি করা হয়েছে।

অবশ্য শুভেন্দু কিছু না বললেও গতকালই মুখ খুলেছেন তাঁর বাবা তথা এখনও পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। আর নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। শিশিরের দাবি, ‘দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। আহত মুখ্যমন্ত্রীর জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নাকচ করে দিয়েছেন শিশির। ‘নিউজ ১৮ বাংলা’কে তিনি বলেছেন, ‘১০ মিনিটের মধ্যে গোটা ঘটনা বিস্তারিত জেনেছি। নন্দীগ্রামের মানুষ ষড়যন্ত্র জানে না। ধাক্কার অভিযোগ সাজানো হয়েছে।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*