চলতি মাসের শেষ ভাগ থেকেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তারই আগে নির্বাচন আধিকারিক নিযুক্ত করা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, নির্বাচনী আধিকারিকদের স্বাধীন হতে হবে, তাঁকে কোনও সরকার নিয়োগ করতে পারবেন না। গোয়া পৌর নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসাবে রাজ্যের আইন সচিব(Law secretary)-কে নিয়োগ করাকে কেন্দ্র করে যে মামলা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট।
গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ার পুরসভা নির্বাচনের রাজ্য পর্যবেক্ষক হিসাবে রাজ্যেরই আইন সচিবকে নিয়োগ করেছিল সরকার। তবে পাঁচটি পুরসভা আসনে মহিলা ও উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণ না করার অভিযোগেই গোয়া হাইকোর্টে (Goa High Court) দায়ের হয়েছিল মামলা। নির্বাচনে স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। এদিন সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএফ নারিম্যান বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একজন নির্বাচনী আধিকারিকের স্বতন্ত্রতার সঙ্গে কোনওভাবেই আপোষ করা যাবে না। একজন সরকারি কর্মচারীর উপর বাড়তিভাবে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া সংবিধানের উপহাস করার সমান।”
আরও পড়ুন: চার বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন ৮০ পার বৃদ্ধ-বৃদ্ধার
মামলার শুনানিতে তিন সদস্যের বেঞ্চ গোয়া সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, “এটি অত্যন্ত বিরক্তিকর যে একজন সরকারি কর্মচারী, যিনি ইতিমধ্যেই সরকারের কাজ করছেন, তাঁকে গোয়ার নির্বাচনী আধিকারিকের পদে বসানো হচ্ছে।” শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, একজন নির্বাচনী আধিকারিক স্বতন্ত্র একজন ব্যক্তি, তাঁরা কোনও সরকারি কর্মচারী নয়। রাজ্য সরকার নির্বাচনী আধিকারিকদের উপর কোনও দায়ভার চাপিয়ে দিতে পারেন না।
মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ না করায় গোয়ার মারগাঁও, মাপুসা, মরমুগাঁও, সাঙ্গুয়েম ও কুয়েপেমে নির্বাচন বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল গোয়া হাইকোর্ট। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল গোয়া সরকার। গত শুনানিতে নির্বাচনের দিনঘোষণা সম্পর্কে শীর্ষ আদালত কোনও রায় না দিলেও এদিন বলা হয়, আগামী ৩০ এপ্রিলের আগেই ওই পাঁচটি কেন্দ্রে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এদিকে, বৃহস্পতিবারই গোয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, এই পাঁচটি পুরসভা কেন্দ্রে আগামী ২১ মার্চ নির্বাচন হবে।
Be the first to comment