রাজ্যে বেকারদের চাকরি, নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়া থেকে চিটফান্ড প্রতারিতদের টাকা একমাত্র বিজেপিই ফেরত দিতে পারে বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে ভোটের হাওয়া গরম করে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হলেন শিশিরপুত্র।
হলদিয়া মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে এক সভায় সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখন একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে এবং এর রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যাতা শেষ হয়ে গিয়েছে। এই দলটিতে নেত্রী ও তাঁর ভাইপোর বাইরে কারও কোনও সম্মান নেই, মর্যাদা নেই, কথা বলার জায়গা নেই, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গা নেই অর্থাৎ দলের বাকী সবাই ল্যাম্পপোস্ট। এই জায়গা থেকে বাংলাকে উদ্ধার করার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা নেমেছি।
এদিন রাজ্যের অর্থনৈতিক সমস্যার কথা টেনে এনে শুভেন্দু বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে এই সরকার বলেছিল, সরকারের মাথায় ২ লাখ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। আর এই দশ বছরে বাংলার ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ কোটি টাকারও বেশি। অর্থাত্ বাংলাকে দেউলিয়া করে দিয়েছে এই সরকার। বেকারদের কর্ম সংস্থান তো দূরের কথা বেকারি আরও বেড়েছে। সাড়ে তিন লাখ পদ তুলে দিয়ে কনট্রাক্ট কাজ দেওয়া হয়েছে। এরকম অবস্থায় এই সরকারকে তাড়াতে হবে।
কৃষকদের জন্য আয়ূষ্মান ভারত ও রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও মমতা সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। বলেন, রাজ্যের হেলথ কার্ড রাজ্যের বাইরে কাজ হয় না। অন্যদিকে, কেন্দ্রের কার্ডও এখানে চালু করতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যের হেলথ কার্ডের সুবিধে পেয়েছেন এমন কোনও লোক আছে? আপনারাই বলুন। রাজ্যের শিল্প নিয়ে শুভেন্দু বলেন, শিল্পের নামে এখানে জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। উনি সবাই করবেন। হলদিয়ায় এটাই হচ্ছে।
পাশাপাশি রাজ্যে চিটফান্ড দুর্নীতি নিয়েও সরব হন শুভেন্দু। বলেন, রাজ্যের ৩ কোটি মানুষ চিটফান্ডে টাকা হারিয়েছেন। সারদা, রোজভ্যালি, আইকোর, ভেরোনা রাজ্যের মানুষের টাকা আত্মসাত্ করেছে। রাজ্যে খুব কম পরিবার রয়েছে যাদের টাকা চিটফান্ডে যায়নি। এই চিটফান্ডের টাকা ফেরতের জন্য লড়াই করবেন না? ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার এলে ইডি চিটফান্ড কোনম্পানিগুলির যে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে তা বিক্রি করে চিটফান্ড প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে পারে। অন্যকে কেউ দিতে পারে না।
Be the first to comment