অনেকটাই সুস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাড়ি যেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। এরপরেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত হাঁটাচলা করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। হুইল চেয়ার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে।
SSKM হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর হাঁটা চলাও সম্পূর্ণ বন্ধ। হাপসাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যথা কমার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। পায়ের পাতা এবং গোড়ালি ফুলে রয়েছে। পায়ের প্লাস্টার খুলে পরীক্ষা করা হয়েছে দীর্ঘক্ষণ। তাঁকে বিশেষ ধরনের চপ্পল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিন হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে দেখতে পৌঁছান সমাজসেবী মেধা পাটকর। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় তৈরি ছয় সদস্যের চিকিৎসক বোর্ডে রয়েছেন কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শঙ্কর মণ্ডল, অর্থো বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মুকুল ভট্টাচার্য, সার্জারি অধ্যাপক ডাঃ ডিকে সরকার, গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগীয় প্রধান গোপালকৃষ্ণ ঢালি, নিউরো সার্জারি বিভাগীয় প্রধান শুভাশিস ঘোষ এবং অধ্যাপক ডাঃ বিমানকান্তি রায়।
SSKM-হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাঁ পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতায় সিভিয়র ইনজুরি রয়েছে। ডানদিকের কাঁধে ও কব্জিতে চোট রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন। চিকিৎসক দলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’ ফলে মমতার নির্বাচনী প্রচার নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হতে পারে বলে অনেকে মনে করছিলেন।
কিন্ত নেত্রী নিজেই একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন প্রয়োজনে হুইল চেয়ারে বসেই প্রচার চালাবেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘এটা ঠিক যে কাল খুব জোর আমার লেগেছিল এবং আমার হাতপায়ে চোট আছে, বোন ইনজুরি আছে, লিগামেন্টে চোট আছে, কালকে আমার মাথায় ও বুকে খুব যন্ত্রণাও হয়েছে। আমার অনুরোধ, সকলে শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন, ভালো থাকুন। তবে হয়তো পায়ের প্রবলেম থাকবে সেটা আমি ম্যানেজ করে নেব।’
Be the first to comment