বিজেপি সাম্প্রদায়িক শক্তি। আর তাই বাংলায় গেরুয়া ঝড় রোখা জরুরি। শেষমেশ এই যুক্তি দিয়েই বাংলায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলালেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেন স্পষ্ট করেছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে পাঁচিল তুলতে তাঁদের সমর্থন থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি।
ভোটের আগে এমন খবর অবশ্যই তৃণমূলের কাছে স্বস্তির। হেমন্ত সোরেন এদিন জানিয়েছেন, দিদি তাঁদের কাছে সমর্থন আশা করেছেন। সেই মর্মে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী চিঠিও দিয়েছেন। আর তাই তৃণমূলকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। বিজেপি বিরোধী হিসাবেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পরিচিত। তবে ঝাড়খণ্ডে তাদের সরকার চলছে কংগ্রেসের সমর্থনে। হিসাব অনুযায়ী, এই রাজ্যে তাদের কংগ্রেসের সমর্থনে নামা উচিত ছিল। কিন্তু হেমন্ত সোরেনের পার্টি সমর্থন করবে তৃণমূলকে। হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল কেন! বাংলায় ৪০ জন প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার। হেমন্ত সোরেন নিজে এই রাজ্যে এসে প্রচার করেছিলেন। বাংলায় আদবাসীদের স্বার্থ রক্ষার ডাক দিয়েছিলেন তিনি।
এমনকী সভামঞ্চ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনাও করেছিলেন তিনি। তা হলে এখন হেমন্ত সোরেনের গলায় উল্টো সুর কেন! হেমন্ত সোরেনের এই রাজ্যে প্রচার ভাল চোখে দেখেননি মমতা। তিনি জানুয়ারি মাসে পাল্টা বলেছিলেন, ”আমি তো ঝাড়খণ্ডে বাঙালি ভোট চাইতে যাই না। আগে ঝাড়খণ্ড সামলাও।” ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বাবা শিবু সোরেনের পরামর্শ মেনেই হেমন্ত এবার দিদিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শেষমেশ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা পাশে পেলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকেও। ফলে আদিবাসী ভোট কাটার সম্ভাবনাও কমল বলা চলে।
Be the first to comment