বিজেপি না থাকলে নন্দীগ্রাম আন্দোলন সফলই হত নাঃ শুভেন্দু অধিকারী

Spread the love

রবিবার ১৪ মার্চ, নন্দীগ্রাম দিবসেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। একদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠল। অপরদিকে, তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসুকে কেন্দ্র করে চলল গো ব্যাক স্লোগান। আর তাতেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল-বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রুটমার্চ করতে শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। আর তারই মধ্যে ফের শুভেন্দু দাবি করলেন, আমিই জিতব। মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছে।

তৃণমূলকে বিঁধতে শুভেন্দু এদিন হাতিয়ার করেন নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের ক্ষমতায় এসে পদোন্নতি নেওয়ার বিষয়টিকে। তাঁর কটাক্ষ, ‘যাঁরা নন্দীগ্রামের মানুষকে মেরেছে, সেই পুলিশ অফিসারদেরই প্রোমোশন দিয়েছে এই সরকার।’ যদিও নন্দীগ্রামের শহিদ বেদিতে মাল্যদান করার আগে নন্দীগ্রামের ‘ভূমিপুত্র’ তথা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে যায় এলাকা।

শুভেন্দু অবশ্য বেশ কিছু সময় পড়ে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করার পর বলেন, ‘এই নন্দীগ্রামে আমরা ঢুকতে পারতাম না। কিন্তু তখন লালকৃষ্ণ আডবানি, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংরা সাহায্য করেছেন। তাঁরা সাহায্য না করলে কোনওভাবেই নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারতাম না আমরা। বিজেপি না থাকলে নন্দীগ্রাম আন্দোলন হত না।’

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম দিবসের দিন তৃণমূলের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকে সোনাচূড়ায় ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসাও বাঁধে। পুলিশের সামনেও চলছে বিক্ষোভ-অশান্তি। শুভেন্দু অধিকারীর আগে তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অবশ্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে দাবি করেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী কোনও বিশ্বাসঘাতকতা করেননি।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*