প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ। সোমবারের পর মঙ্গলবার ফের হেস্টিংসে বিজেপির দফতরে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের। এ দিন তা আরও চরম আকার ধারণ করে। গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের।
বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই ক্ষোভ বেরিয়ে আসে দলীয় কর্মীদের। পাঁচলা ও উদয়নারায়ণপুরের প্রার্থী বদলের দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ওঠে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগানও। তবে সূত্রের খবর, দলীয় কর্মীদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
দলীয় কর্মীদের অসন্তোষকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার হেস্টিংসে বিক্ষোভের খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সফর সূচি বদল করে গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় আসেন অমিত শাহ। জরুরি বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে। কী কারণে বিক্ষোভ, কোথায় সমস্যা, কী ভাবেই বা তার সমাধান করা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করেন বৈঠকে।কর্মীদের অসন্তোষ প্রশমনে কিছু নির্দেশও দেন দলীয় নেতৃত্বকে। মঙ্গলবার সকালে ফের দিল্লি রওনা দেন অমিত।
উল্লেখ্য, রবিবারই তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাতে পাঁচলায় টিকিট পেয়েছেন মোহিত ঘাঁটি। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ক্ষোভ জমতে থাকে পাঁচলার একাংশ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। পাঁচলা ও উদয়নারায়ণপুরে প্রার্থী বদলের দাবি নিয়ে হেস্টিংসে বিজেপির দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নেন তাঁরা।
সেই মোতাবেক সোমবার সকালে হেস্টিংসে বিজেপি দফতরের সামনে কয়েকশো দলীয় কর্মী সমর্থক জমায়েত করেন। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, পোস্টার। দফতরের সামনেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। মুকুল রায় যখন দফতরে ঢুকতে যান, তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাঁকে ঘিরেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। ওঠে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগানও। অভিযোগও, রাজীবের ঘনিষ্ঠ দেহ ব্যবসা চালানোর দায়ে দুষ্টকেও টিকিট দেওয়া হয়েছে।
Be the first to comment