ক্ষমতায় এলে ২৫ লাখ বাড়ি, হলদিয়ায় ২৫ হাজার কর্মসংস্থান, প্রতিশ্রুতি মমতার

Spread the love

হলদিয়ার পর খেজুরির সভা থেকেও গেরুয়া শিবির সহ অধিকারী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল সুপ্রিমোর। একইসঙ্গে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্মৃতি উসকে বলেন, ‘খেজুরি না থাকলে নন্দীগ্রাম হত না।’

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে নেত্রী বললেন, ‘ক্ষমতায় ফিরলে দুয়ারে সরকারে ২৫ লাখ বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।’ একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘হলদিয়া কেবল ল্যান্ডিং সেন্টার তৈরি হচ্ছে। তাতে আরও ২৫ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।’ তিনি বলেন, ‘তৃণমূল সরকারকে ভোট দিলে আগামী ২ মাস পর থেকে বাড়িতে বিনা পয়সায় রেশন পৌঁছে যাবে।’

খেজুরির সভামঞ্চে দাঁড়িয়েও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন সু্প্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘BJP রাবণ-দৈত্যের দল। BJP বিভীষণ-দুঃশাসন। ওদের দলেই মেয়েরা সুরক্ষিত নয়।’ জনগণের কাছে তাঁর আর্জি, ‘ বহিরাগত এসে ভোট চাইতে এলে হাতা-খুন্তি- ঘটি নিয়ে তেড়ে যান।’

খেজুরিতেও মমতার নিশানা থেকে বাদ গেল না অধিকারী পরিবার। ‘অন্ধ স্নেহ’ ছিল স্বীকার করে এ দিনের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এখন তিনি স্বাধীন। আকারে-ইঙ্গিতে অধিকারী পরিবারকে বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁতের জন্য দোষারোপ করে মেদিনীপুরের মানুষের কাছে নিজের কষ্ট উগড়ে দিয়েছেন।

দলবদলের দিন অমিত শাহের সভায় শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, ২০১৪ থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করলেও এ দিনের সভায় সেই প্রসঙ্গ টেনেই মমতা বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে তাঁরা যে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে, তা ভাবতে পারিনি। আজ বলছে, যোগাযোগ ছিল। ঘরের শত্রু বিভীষণ। তাই এত কষ্ট হয়েছে।’

BJPকে একটাও ভোট না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি এ দিন বলেন, ‘বাংলা ওদের ঘর নয়। বাংলা বাংলাই থাকবে। আর যদি কেউ ভেবে থাকে কিছু গদ্দারকে দিয়ে মানুষের উপর ছড়ি ঘোরাবে, হতে দেব না। অনেক সহ্য করেছি আর নয়।’

এ দিনও নিজেকে ২৯৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে সকলকে মনে করিয়ে দিতে গিয়ে বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে চান, তাহলে প্রার্থী কে তা না দেখে, জোড়া ফুলে ভোট দেবেন।’মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘কোনও এনপিআর এ রাজ্যে হতে দেব না। কাউকে নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে হবে না।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*