ক্ষুদিরামের জেলায় বিপ্লবীদের পাশাপাশি বিশ্বাসঘাতকও জন্মায়ঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

মেদিনীপুর জেলা স্বাধীনতা আন্দোলনের জেলা। ক্ষুদিরাম,বিদ্যাসাগর, মাতঙ্গিনীর মতো মহান ব্যক্তিত্বরা যেমন জন্মগ্রহণ করে তেমনই বিশ্বাসঘাতকরাও জন্মগ্রহন করেন।

রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার ও মহিষাদল বিধানসভার দুই প্রার্থীর সমর্থনে নন্দকুমার মহারাজা মহাবিদ্যালয়ের মাঠে নির্বাচনী সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

নন্দকুমার বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুকুমার দে, মহিষাদল বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তিলক চক্রবর্তী, সমাজবাদী পার্টির নেতা কিরণময় নন্দ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তমলুক, মহিষাদল স্বাধীনতা আন্দোলনের জেলা। এই জেলায় যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা জন্মায় তেমনই মির্জাফর ও গার্দ্দারাও জন্মায়। ক্ষুদিরামের জেলায় বিশ্বাস ঘাতক জন্মায়, আমি একটু গাধা আছি, কয়েকটা শয়তান ছিলো, ২০১৪ থেকে অমিত শাহর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল, এরা সব ঘর শত্রু বিভীষণ।”

তিনি আরও বলেন, “আমি সকলকে আপন ভেবে কাছে টেনে নিই। কিন্তু আমার সঙ্গে প্রতারনা করেছে কেউ কেউ। জেলার উন্নয়ন করছে কে আর নাম করছে কে? আমি জেলার উন্নয়নের কাজ করেছি, কিন্তু সব নিজের নামে করে নিয়েছে মির্জাফর( শুভেন্দু অধিকারী )। আমার টাকা নিয়ে শুধু গুন্ডা তৈরি করেছে। তাদের দিয়ে আমাকে মারার চেষ্টা করছে। আমি অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি এই ধরনের প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। ঋষি মশাইয়ের গল্প শোনালেন, ( শুভেন্দু চাওয়া – পাওয়া নিয়ে)।”

পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে সরকার। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, রাস্তা থেকে পানীয় জল সব কিছু সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে স্পষ্ট ঘোষণা করে দিয়েছেন, “অনেক স্নেহ দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে যাদের রেখেছিলাম তাঁরা গদ্দারী করে দল ছেড়েছে। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বো না।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবারও পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচারে এসে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে গদ্দার, মীরজাফর বলে সমালোচনা করে গেছেন। নির্বাচনের সাতদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে তাঁর প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে নন্দীগ্রামের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন দিতে চলেছে। অন্যদিকে প্রচারে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*