আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি লিখে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এ বার দিল্লির সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার জন্য কেন্দ্রের আনা বিল রুখতে রাজধানীতে ছুটলেন তৃণমূলের সাংসদরা ৷ টুইটে এ কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ৷
লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে দ্য গর্ভমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২১ ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই বিল দিল্লিতে নির্বাচিত সরকার ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দায়িত্ব স্পষ্ট ভাবে ভাগ করে দেবে ৷ সরকারের একটি সূত্রের খবর, এই বিল আইনে পরিণত হলে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দিল্লির সরকারকে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমতি নিতে হবে ৷
বিরোধীদের অভিযোগ, এর মাধ্যমে কেন্দ্রের মোদি সরকার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির উপর আরও বেশি করে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চাইছে ৷ আর এই কাজ তারা সেখানকার লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের মাধ্যমেই করতে চাইছে বলে বিরোধীদের দাবি ৷ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তিনি এই নিয়ে সব অবিজেপি দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন ৷ এ বার বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হওয়া রুখতে দিল্লি ছুটে গেলেন তৃণমূলের সাংসদরা ৷
বাংলা ও অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচন শেষ না-হওয়া পর্যন্ত এই বিল নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়ে চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ৷ টুইটে তিনি একে, “গণতন্ত্রের হৃদয়, সংবিধান ও সংসদে ছুরি চালানো”র তকমা দিয়েছেন ৷
এ দিন টুইটে ডেরেক লিখেছেন, পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের জন্য আর মাত্র দু দিন বাকি ৷ তবুও দিল্লির নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা খর্ব করতে যে বুলডোজ়ার চালানো হচ্ছে, তা রুখতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদরা দিল্লি উড়ে গিয়েছেন ৷ এটা গণতন্ত্রের হৃদয়, সংবিধান ও সংসদে আরও একবার ছুরি দিয়ে আঘাত ৷ সবচেয়ে খারাপ এটাই যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিল নিয়ে কিছু বলছেন না, ভোটভিক্ষা করছেন ৷ এটাই নিষ্ঠুর পরিহাস ৷
রাজ্যের ভোটের আগে শনিবার থেকে শুরু হওয়া সংসদের অধিবেশনে তৃণমূলের সাংসদদের পক্ষে হাজির হওয়া সম্ভব হবে না বলে চিঠিতে জানিয়েছিলেন ডেরেক ৷ এই আইন তাড়াহুড়ো করে পাশ করালে তা খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে বলে জানিয়ে ডেরেক বলেছিলেন, “এই বিল নিয়ে যখন অধিবেশনে আলোচনা হবে, তখন সংসদের প্রত্যেক সদস্যের এ ব্যাপারে মতামত জানানোর সুযোগ পাওয়া উচিত ৷”
Be the first to comment