কোথাও শাসক, আবার কোথাও বিরোধী! ভোটের মুখে তৃণমূল-বিজেপির পতাকা-ফেস্টুন ছেঁড়া ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার দুই বিধানসভা এলাকায়। সাঁকরাইলে এবার প্রিয়া পালকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তাঁর প্রচারে পোস্টার, ফেস্টুন থেকে শুরু করে প্রচুর দলীয় পতাকা লাগানো হয়েছে গোটা বিধানসভা এলাকাতেই।
কিন্তু সোমবার সকালে দেখা যায়, মহিয়াড়ি ২ নম্বর এলাকায় দলনেত্রীর সঙ্গে থাকা তৃণমূল প্রার্থীর যাবতীয় ফেস্টুন-পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। খুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পতাকা। এ ছবি সামনে আসার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আন্দুল রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। এই ঘটনায় বিজেপির হাত দেখছে শাসকদল। ঘণ্টাখানেক ধরে বিক্ষোভ চলার পর এদিন ডোমজুড় থানার পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
সাঁকরাইলের ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটে উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা এলাকার বাসুদেব পুর গ্রাম পঞ্চায়েত মাগুরখালি গ্রামে। এখানে এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চিরন বেরার সমর্থনে লাগানো পোস্টার-ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুটি ঘটনাতেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভোটের আগে রাজ্যের জেলায় জেলায় এমনিতেই ছড়িয়ে পড়ছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। ভোটের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিন জায়গায় রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে । ক্যানিং পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থীর প্রচার মিছিল থেকে ফেরার পথে, আক্রান্ত বিজেপির মহিলা কর্মী। বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের দিঘীরপাড় এলাকায়। আহত মহিলা বিজেপি কর্মীকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে ২ নম্বর লঞ্চঘাট এলাকায় জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের হাতে এক বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুটি ঘটনাতেই ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের। দুটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এদিকে ডায়মন্ড হারবারে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি শিবিরের সংঘর্ষ বাঁধে। কয়েকজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
Be the first to comment