নন্দীগ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে বিজেপি নেতার সাফ কথা, ‘‘আমি এই এলাকারই ছেলে। এখানেই থাকব। যাঁরা উড়ে এসেছেন, উড়ে চলে যাবেন।’’ সোমবার দিনভর নন্দীগ্রামে ঠাসা রাজনৈতিক কর্মসূচি শাসক-বিরোধী সব পক্ষের। একদিকে নন্দীগ্রামে পরপর সভা, রোড শোয়ে ঝড় তুলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অন্যদিকে, তৃণমূলনেত্রীকে আক্রমণ করে নন্দীগ্রাম থেকেই হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর।
নিজেকে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হিসেবে তুলে ধরে শুরু থেকেই রাজনৈতিক প্রচার তুঙ্গে তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ১ এপ্রিল মহারণ। নন্দীগ্রামের মাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে হাই-ভোল্টেজ লড়াই। সম্মুখ-সমরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে আজ সোমবার নন্দীগ্রামে ঠাসা প্রচার কর্মসূচি যুযুধান দুই প্রবল প্রতিপক্ষের। সভা-পাল্টা সভায় সরগরম নন্দীগ্রাম। এলাকা জুড়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। গোটা রাজ্যের মিডিয়া তো বটেই রাজ্যের বাইরে থেকে জাতীয় সংবাদমাধ্যম ঘাঁটি গেড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এই তল্লাটে।
সোমবার নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রতার তেকে স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর গোটা পরিবারকে গদ্দার বলে সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারই পাল্টা দিতে এদিন নন্দীগ্রামের সভা মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী আগাগোড়াই ছিলেন আক্রমণাত্মক। চেনা মেজাজে তৃণমূলনেত্রীকে নিশানা করে তিনি এদিন বলেন, ‘‘আমি এই এলাকারই ছেলে। এখানেই থাকব। যাঁরা উড়ে এসেছেন, উড়ে চলে যাবেন।’’ এরই পাশাপাশি রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শুবেন্দু। তাঁর দাবি, প্রথম পর্বে রাজ্যের যে ৩০ আসনে নির্বাচন হয়েছে, তার সব কটিতেই জয় পাবে বিজেপি।
Be the first to comment