তুমি মহান নেতা কী করছিলে? নন্দীগ্রামের বেহাল রাস্তার জন্য শুভেন্দুকেই দুষলেন মমতা

Spread the love

আপাতত নন্দীগ্রামেই ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি৷ নন্দীগ্রামের একপ্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে সভা করছেন৷ কিন্তু সেই নন্দীগ্রামের রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য এবার শুভেন্দু অধিকারীকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে ‘মহান নেতা’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি৷

এ দিন বিকেলে নন্দীগ্রামের আমদাবাদে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সভা থেকেই তিনি বলেন, ‘এখানে যে রাস্তাটা দিয়ে এলাম, কী খারাপ অবস্থা! রাস্তা না পুকুর বোঝা যাচ্ছে না৷ কালকে বিরুলিয়ার রাস্তাতেও দেখলাম বড় বড় গর্ত৷ তা তুমি মহান নেতা কী করছিলেন, নিজের এলাকার রাস্তাটা আমাকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারোনি? আমরা ৯৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছি, তাহলে নন্দীগ্রামের রাস্তা এত খারাপ থাকবে কেন?’

শুধু রাস্তাই নয়, নন্দীগ্রামের সঙ্গে হলদিয়ার সংযোগকারী সেতু তৈরি না হওয়ার জন্যও শুভেন্দু অধিকারীকেই দায়ী করেছেন তিনি৷ এই সেতু তৈরির আশ্বাস দিয়ে মমতা বলেন, ‘তুমি তো সেচমন্ত্রী ছিলে, তাহলে আমাকে কোনওদিন বলোনি কেন এই সেতুটা প্রয়োজন? আমি রাস্তা, হাসপাতাল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, আশা, আইসিডিএস সব করব, টিচার নেব আর তুমি লোকের থেকে টাকা খাবে? সেচ মন্ত্রী, পরিবেশ মন্ত্রী, পরিবহণ মন্ত্রী সব করেছি৷ সরকারের সত্তর শতাংশ টাকা খেয়েছে৷ আর এখন সেই টাকা লুকনোর জন্য অমিত শাহকে লাগছে!

রবিবার নন্দীগ্রামে যাওয়ার পর থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিনও নাম না করে শুভেন্দুকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘কখনও তুমি সিপিএম করেছো কি না জানিনা৷ মাঝে মধ্য়ে তো করতে নিশ্চিত৷ তা না হলে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে এত ভাব কেন? ভূমি আন্দোলনে যে সবথেকে বেশি অত্যাচার করেছে সেই সিপিএমের নব সামন্ত এখন নাকি গদ্দারের ডানহাত৷ এরা মীরজাফর, গদ্দার, বিশ্বাসঘাতক৷’

মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ দিনও আশ্বাস দিয়েছেন, ভোটে জিতলে নন্দীগ্রামের সমস্ত রাস্তা তিনি নতুন করে তৈরি করার ব্যবস্থা করে দেবেন৷ নন্দীগ্রাম থেকে জিতলে সেখানেও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের একটি শাখা খুলবেন বলেও এ দিন ফের আশ্বস্ত করেছেন মমতা৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*