দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট গ্রহণের প্রচারের শেষ দিন আজ। তার আগে মিন্টোপার্কে সাংবাদিক বৈঠক করল বিজেপি নেতৃত্ব। এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
এখন শুধু বাংলা নয়, সারা ভারতের নজর নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের দিকে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির তরফে জয়প্রকাশ বলেন, শাসকদল যেখানে হুমকি দিচ্ছে সেখানে বিজেপি আশার বাণী শোনাচ্ছে। নন্দীগ্রামে বিপুল জয় দিয়ে শুরু হবে বিজেপির বিজয় যাত্রা।
এদিন বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে সরাসরি তোপ দেগে বলা হয় ১৪ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত কখনও মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় মুখ খুললেন না। অথচ হঠাৎ সোমবার বললেন সেদিন যারা গুলি চালিয়েছিল সেটা নাকি তাঁরই দুই সৈনিক শুভেন্দু ও শিশির অধিকারীর কথায় গুলি চালিয়েছিল। তাহলে সেদিন উনি কী করছিলেন, সেই প্রশ্ন তোলে বিজেপি।
জয়প্রকাশ সরাসরি প্রশ্ন তোলেন হয়, উনি তো পুলিশ মন্ত্রী ছিলেন। এই ১০ বছরে তিনি কি জানতেন না? আর তিনি নিজেই তো বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বলেছেন শুভেন্দুকে তিনি মন্ত্রী করেছেন। সে সব তিনি কেন করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন এখনও তিনি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিরোধী নেত্রী নন। কখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী, কখনও নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী যে বাড়িতে আছেন তার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে নন্দীগ্রামে এক নারকীয় ঘটনা ঘটেছে। তিনি দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। এরপরই অমিত শাহের নন্দীগ্রামের রোড শোয়ের প্রসঙ্গ তোলা হয়। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রোড শোয়ে যে বিপুল সাড়া মিলেছে তা উল্লেখ করে বৈঠকে বলা হয় জনগণ বুঝিয়ে দিয়েছে তারা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।
পাশাপাশি দ্বিতীয় দফার নির্বাচন নিয়ে যে বিজেপি আশাবাদী সে কথাও জয়প্রকাশ জানান বৈঠকে। বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের যে ৩০টি আসনে নির্বাচন রয়েছে, তার প্রত্যেকটিতেই জয় পাবে বিজেপি।
Be the first to comment