নন্দীগ্রামে আহত হয়েছিলেন। সেই নন্দীগ্রামেই হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নন্দীগ্রামে ভোটের মুখে হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন তৃণমূলনেত্রী। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ায় জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় উঠে দাঁড়ান মমতা। হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গান তৃণমূল সুপ্রিমো। নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে আহত হয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তারপর থেকেই হুইলচেয়ারে করেই প্রচার সারছেন মমতা।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেরার পথে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেন, ৪-৫ জন তাঁকে ঠেলে তাঁর পায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে চেপে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই অভিযোগে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ জমা পড়লেও তদন্তের পর তা খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। আহত হওয়ার পর SSKM হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
এরপর হুইলচেয়ারেই ভোটপ্রচারে বেরোন তৃণমূলনেত্রী। ‘ভাঙা পায়েই খেলা হবে’ বলে সোচ্চার হয় জোড়াফুল শিবির। অবশেষে নন্দীগ্রামে ভোটপ্রচারের শেষলগ্নে হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়়ালেন মমতা।
সোমবার নন্দীগ্রামে বয়াল পঞ্চায়েতের সভা থেকে মমতা অভিযোগের আঙুল তুললেন শুভেন্দুর দিকে। বলেন, ‘নির্বাচনের সময় তুই আমার পা জখম করিয়েছিস। আমি চেপে গেছি ভদ্রতা করে। আজও আমায় পা ভাঙা নিয়ে হুইলচেয়ারে বসে মিটিং করতে হচ্ছে। এটা যে কত কষ্টের!’ এখানেই শেষ নয়, এদিনের বক্তব্যে তিনি আবারও স্পষ্ট করেন কোনও নন্দীগ্রামের মানুষ নয়, বহিরাগত গুণ্ডাদের দিয়ে একাজ করানো হয়েছে।
মমতার অভিযোগ, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর নির্দেশেই একাজ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তোমার নির্দেশ ছাড়া এ সব হতে পারে না। কোনও নন্দীগ্রামের লোক এ সব করতে পারে না। বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে এ সব করিয়েছ তুমি।’
হুইলচেয়ারে করে মমতার প্রচারকে প্রথম থেকেই কটাক্ষ করে আসছে বিরোধীরা। মমতা নাটক করছেন বলে তোপ দেগেছে BJP। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘যতই নাটকবাজি করুন না কেন, মাননীয়াকে হারাব।’
Be the first to comment