রাত পোহালেই নন্দীগ্রামে ভোট। তার আগে বুধবার হুগলির গোঘাটের সভামঞ্চ থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে বেনজির আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে শুভেন্দুকে বিঁধে মমতা এদিন বলেন, ‘খাইয়ে পড়িয়ে মানুষ করেছি। দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছি। কেউটে সাপ পুষেছি, গোখরো সাপ পুষেছি।’ এরপরই মমতা বলেন, ‘তুইও নির্বাচনে লড়ছিস, আমিও লড়ছি, মানুষ যাকে পছন্দ করছে ভোট দেবে, যাকে পছন্দ করবে না, ভোট দেবে না।’ এদিনও মমতার গলায় শোনা গিয়েছে গদ্দার শব্দ।
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, ‘আমি কারও গায়ে হাত দিই না। আমার গায়ে কেউ হাত দিলেও ক্ষমা করে দিই। কিছু কিছু লোক আছে, যাদের বেশি ভালোবেসে ফেলেছি কী করব! কাল নন্দীগ্রামেও, কতগুলো বহিরাগত গুন্ডা, আমার গাড়ি ধরে হামলা করছে। গাড়িতে দুমদাম মারছে। এত বড় সাহস! নির্বাচন বলে চুপ করে আছি। তা না বলে দেখে নিতাম কতবড় চেহারা।’
এরপরই সভামঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘মাথা ঠান্ডা। ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল।’ উল্লেখ্য, মঙ্গলবারব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ঘিরে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের আবহে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রায় রোজদিনই নিশানা করছেন তৃণমূলনেত্রী। সোমবার নন্দীগ্রামে বয়াল পঞ্চায়েতের সভা থেকে মমতা অভিযোগের আঙুল তোলেন শুভেন্দুর দিকে। তিনি বলেছিলেন, ‘নির্বাচনের সময় তুই আমার পা জখম করিয়েছিস। আমি চেপে গেছি ভদ্রতা করে। আজও আমায় পা ভাঙা নিয়ে হুইলচেয়ারে বসে মিটিং করতে হচ্ছে। এটা যে কত কষ্টের!’
তবে এখানেই শেষ নয়, এদিনের বক্তব্যে তিনি আবারও স্পষ্ট করেন কোনও নন্দীগ্রামের মানুষ নয়, বহিরাগত গুণ্ডাদের দিয়ে একাজ করানো হয়েছে। মমতার অভিযোগ, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর নির্দেশেই একাজ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তোমার নির্দেশ ছাড়া এ সব হতে পারে না। কোনও নন্দীগ্রামের লোক এ সব করতে পারে না। বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে এ সব করিয়েছ তুমি।’
Be the first to comment