পুলিশের নামে জনমত সমীক্ষা! ভুয়ো লিফলেট ঘিরে শোরগোল মেদিনীপুরে

Spread the love

ভোটের আগে কেশপুর, নারায়ণগড় এলাকায় হুলস্থুল কাণ্ড। পুলিশের লোগো দেওয়া লিফলেটে লেখা বিভিন্ন কেন্দ্রের নাম। আর সেই কেন্দ্রগুলিতে কোন দল কত আসনে এগিয়ে, তার বিবরণ দেওয়া। ভোটের মুখে পুলিশের লোগো দেওয়া লিফলেটে জনমত সমীক্ষার এহেন প্রচার পত্র ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। এই প্যাড পুলিশের নয় বলে দাবি করেছেন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের নাম করে যারা ভুয়ো পোস্টার ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশের লোগো ব্যবহার করে ওই লিফলেটের একটিতে দাবি করা হয়েছে, ‘কেশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার ভোটে জিতবে।’ আরও একটি প্যাডে লেখা হয়েছে, ‘দাসপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার ভোটে জয়ী হবে।’

উল্লেখ্য়, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোট রাজ্যে। বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের লক্ষ্যে তৎপর নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে। বাকি দফার নির্বাচনে সুষ্ঠু ও অবাধ করাটাই চ্যালেঞ্জ কমিশনের।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার বাংলায় আট দফায় ভোট। একুশের লড়াইয়ে বাংলার কুর্সি কার হাতে থাকবে? এর উত্তর মিলবে আগামী ২ মে। ওই দিনই ভোটের ফল ঘোষণা। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে এবার হিংসা রুখতে তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মুখে পুলিশ-প্রশাসনে একঝাঁক বদল করা হয়েছে। ভোটের দিন ঘোষণার আগেই এবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। হিংসা রুখে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করা এবার কমিশনের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ।

সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সুরক্ষাবিধির দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, এবারের ভোটে অন্যতম ব্যাটলফিল্ড নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী দ্বৈরথের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। ভোটের আবহে শাসক-বিরোধী চাপান-উতোরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। সবমিলিয়ে ভোটের টান টান উত্তেজনাপূর্ণ মেজাজে ফুটছে গোটা বাংলা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*