বুথ দখলের অভিযোগ পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন বয়ালের বুথে। সেখানে বিক্ষোভের মুখেও পড়েন। প্রায় দু’ঘণ্টা থাকার পর বুথ থেকে বেরোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন ও বাহিনীর আধিকারিকের সঙ্গে কথাও বলেন। এর পাশাপাশি নিজে হাতে অভিযোগপত্র লিখে নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে নন্দীগ্রামে জয়ের ব্যাপারেও বেশ আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম নিয়ে আমি চিন্তিত নই, নন্দীগ্রামে আমিই জিতব ৷ ৯০ শতাংশ ভোট তৃণমূল পাবে। আমি ভিকট্রি সাইন দেখাচ্ছি।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে এসব করা হচ্ছে। বিজেপির বহিরাগত কয়েকটা লোক এসব করছে। নির্বাচন কমিশন চুপ করে বসে আছে। নির্বাচন কমিশনকে বলব, দয়া করে নিরপেক্ষ হন।’
বয়ালের বুথে এদিন দুপুরে মমতা পৌঁছতেই তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মমতাকে ঘিরে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা ‘জয় বাংলা’ শোনা গিয়েছে তৃণমূল কর্মীদের মুখে।
তৃণমূলের অভিযোগ, সকাল থেকে এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছে না। পাল্টা তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বহিরাগত এনে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি। বয়ালে যখন অশান্তি চলছে তখন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ওই বুথে ৮০% ভোট হয়ে গিয়েছে। গিয়ে কিচ্ছু করতে পারবেন না। নন্দীগ্রামে ২০০ শতাংশ জিতছি। তার অব্যবহিত পরেই মমতা অভিযোগ করেন, ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট পড়েছে। এরা সবাই বহিরাগত। কেউ বাংলা বলতে পারে না।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নন্দীগ্রাম থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। পুলিস ও বাহিনীর সুরক্ষাবলয়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল নেত্রীকে। নির্বাচন কমিশনে নিজে হাতে লিখে অভিযোগপত্র জমা দেন মমতা। ভোটদানে বাধা ও তৃণমূল এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।
Be the first to comment