সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা খাঁ। বিজেপির হয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। ঘটনাকে ঘিরে আরামবাগে উত্তেজনা ছিলই। ২৬৩ নম্বর বুথে সুজাতা খাঁ পৌঁছতেই চরম উত্তেজনা ছড়ায়। বাঁশ হাতে সুজাতা খাঁকে তাড়া করতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের। ধান খেতের মধ্যে রীতিমতো দৌড়ে পালান সুজাতা।
সকালে প্রথমে উত্তেজনা ছড়ায় সুজাতার একটি অভিযোগ ঘিরে। বুথে বুথে ঘুরে সুজাতা খাঁ অভিযোগ করতে থাকেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের কর্তব্য ঠিকঠাক পালন করছেন না। এই নিয়ে তাঁকে শাসাতেও দেখা যায় একাধির বুকে। উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় যখন সুজাতা ২৬৩ নম্বর বুথে যান। তখনই গ্রামবাসীরা রীতিমতো তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পাল্টা চিৎকার করতে দেখা যায় সুজাতাকেও। এরপরই নজিরবিহীনভাবে এলাকারই তৃণমূল প্রার্থী সুজাতার দিকে বাঁশ নিয়ে তেড়ে যান গ্রামবাসীরা। চার-পাঁচ জন গ্রামবাসী সুজাতার পিছনে বাঁশ হাতে দৌড়াতে থাকেন। আর দুই সঙ্গীকে বগলদাবা করে উর্ধ্বশ্বাসে
দৌড়াতে থাকেন সুজাতা।
এলাকাবাসীদের পাল্টা অভিযোগ, গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঢুকে সুজাতা সকলে শাসাচ্ছিলেন। এমনকি একটি বাড়িতে ঢুকে ভাতের হাঁড়িতে লাথিও মেরেছেন তিনি। বাধা দেওয়ায় এক মহিলাকে মেরে সুজাতা হাত ভেঙে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। সুজাতা খাঁর বিরুদ্ধেই পাল্টা ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
এদিকে, সুজাতা খাঁর ওপর হামলার ওপর রিপোর্ট তলব করল কমিশন। পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে কমিশন। তবে প্রার্থীকে বাঁশ হাতে তাড়া করার ঘটনা ভোট বাংলায় রীতিমতো নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Be the first to comment