ক্ষমতায় এলে আর্থিক রাজধানী কলকাতা! ইঙ্গিত অমিত শাহের

Spread the love

চতুর্থদফা ভোটের আগেই বড় দাবি অমিত শাহের। শুক্রবার তিনি দাবি করেন, যে ৯১টি আসনে নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে ৬৩টি থেকে ৬৮টি আসনে জয়ী হবে বিজেপি। এদিন তিনি বলেন, ‘মোদীর জয়প্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছেন দিদি।’এদিন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন শাহ। জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলুন। আমার পুরো রাজনৈতিক জীবনে এই কথা শুনিনি। ওনার আচরণ ও ব্যবহারে হতাশা প্রকট হচ্ছে।’

শুধু রাজনৈতিক আক্রমণ নয়, এদিন প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি শোনা যায় অমিত শাহের মুখ থেকে। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ, বিজেপি ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের রোডম্যাপ ঠিক কী হতে চলেছে, তার ঝলক তুলে ধরেন শাহ। তাঁর বক্তব্যে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উঠে এসেছে কৃষককের কথা। শাহ জানান, ‘ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক কৃষককের অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হবে।’ পাশাপাশি কর্মসংস্থান নিয়েও বড় ঘোষণা করেন শাহ। তিনি জানান, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক বাড়িতে কমপক্ষে একজনের রোজগার সুনিশ্চিত করা হবে।’

এদিন কলকাতার উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘একটা সময় সিঙ্গাপুরের উন্নয়নের মডেল ছিল। কলকাতা সিটি অফ জয় থাকবে। পাশাপাশি শহরকে সিটি অফ ফিউচার হিসেবেও গড়ে তোলা হবে।’

শাহ এদিন বলেন, ‘নোবেল প্রাইজের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরস্কার এবং অস্কারের মতো সত্যজিৎ রায় পুরস্কার চালু করা হবে।’ কলকাতাকে অপরাধমুক্ত করতে শহরের প্রতিটি গলিতে থাকবে CCTV ক্যামেরা, জানান তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন অমিত শাহ জানান, আগামী ৫ বছরে কলকাতাকে দেশের দ্বিতীয় কেন্দ্র তথা আর্থিক রাজধানী করার চেষ্টা করা হবে। একটি কমিটি গঠন এই পদক্ষেপের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোনো হবে, দাবি শাহে। ক্যালকাটা ,স্টক এক্সচেঞ্জের পুনর্জীবন করা হবে। মেট্রো, লোকাল ট্রেন এবং বাসের জন্য চালু করা হবে এক কার্ড।

পাশাপাশি বিজেপি ক্ষমতায় এলে সংস্কার করা হবে আদি গঙ্গাও, আশ্বাস শাহের। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, বিজেপির ‘ফোকাস’ উত্তরবঙ্গও, নিজের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে তা বুঝিয়ে দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মধ্যে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য ৭০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হবে। শিলিগুড়িতে তৈরি হবে মেট্রো ও চা পার্ক।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*