৩০০-৪০০ জন ঘিরে ধরাতেই নাকি গুলি চালাতে হয়, কমিশনে পৌঁছল প্রাথমিক রিপোর্ট

Spread the love

মাথাভাঙার জোরপাটকিতে বাহিনীর গুলি চালানোর অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিল নির্বাচন কমিশন। আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্ট পৌঁছেছে পর্যবেক্ষকের কাছে। অন্যদিকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে কমিশনের তরফে।

উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ফোন করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবকে। গোটা ঘটনার খোঁজ নেন তিনি। কমিশন সূত্রে খবর, প্রায় ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এরপরই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।

শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে অগ্নিগর্ভ কোচবিহারের শীতলকুচি, মাথাভাঙা। সাতসকালে পাঠানকুলিতে গুলিবিদ্ধ হন ১৮ বছরের এক বিজেপি কর্মী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। এরইমধ্যে আবার মাথাভাঙা ও শীতলকুচির মাঝামাঝি এলাকা জোরপাটকির একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় মৃত্যু হয় চারজনের। ঘটনা ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর।

তৃণমূলের দাবি, নিহতরা তাদের দলের কর্মী। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কোনও কারণ ছাড়াই গুলি চালায় জওয়ানরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। পরে আরও একজনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। পাল্টা বিজেপি প্রশ্ন তোলে, এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। এমন কী পরিস্থিতি হল, যে কারণে বাহিনীর জওয়ানরা গুলি ছুড়লেন তা জানা দরকার।

এমন ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তি বেড়েছে কমিশনের। ভোট শুরু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একই জেলায় এমন ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও। সূত্রের খবর, এরপরই তড়িঘড়ি রিপোর্ট তলব করা হয়। গুলি চালানোর সত্যতা প্রাথমিকভাবে স্বীকারও করে নেয় কমিশন।

সূত্রের খবর, তাদের হাতে যে প্রাথমিক রিপোর্ট পৌঁছেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ৩০০-৪০০ জন ঘিরে ধরেছিল জওয়ানদের। আত্মরক্ষার স্বার্থেই এরপর গুলি চালায় তাঁরা।

উল্লেখ্য, ভোট শুরু আগেই এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের হেনস্থা হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই বিশেষ পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছিলেন, আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনে কঠিন পদক্ষেপ করতে পারে বাহিনী। জওয়ানদের উপর আক্রমণ হলে, তাঁদের কাছে যে বন্দুক থাকছে তা চালানোর ক্ষমতাও থাকবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*