এবার দলীয় বৈঠকেও আলোচনা হবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে দেশ নাজেহাল, এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী শনিবার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।
দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হবে বৈঠকটি। এদিনের বৈঠকে রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় ছাড়াও যে রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের জোট সরকার রয়েছে, সেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও এই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত রাজ্যগুলির করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কীভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পঞ্জাব, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে যে করোনা টিকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে, সেই বিষয়েও এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গতকালই টিকার ঘাটতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই চিঠিতে তিনি বিদেশে টিকা সরবরাহ বন্ধ করে আগে দেশবাসীকে টিকা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
সম্প্রতি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যে টিকা উৎসবের কথা বলেছিলেন, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেও কটাক্ষ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “এটা কোনও উৎসবের সময় নয়। টিকা সরবরাহে ঘাটতি যথেষ্ট গুরুতর একটি বিষয়।” একইসঙ্গে বিদেশে ৬ কোটি টিকা সরবরাহ ও তিন মাসেও দেশের এক শতাংশ টিকাকরণ কেন হয়নি, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অন্যদিকে, কংগ্রেস শাসিত একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একদিকে যেমন রাজস্থানের গেহলট সরকার আগামী ৩০ এপ্রিল অবধি নয়টি শহরে নৈশ কার্ফু জারি করেছে, তেমনই ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরেও ৯ থেকে ১৯ এপ্রিল অবধি সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও নৈশ কার্ফু ও সপ্তাহন্তে লকডাউন জারি কা হয়েছে।
Be the first to comment