তাঁকে ঘিরে বিগত বেশ কয়েকমাস তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। বাংলায় বিজেপির মুখ তিনিই, এই জল্পনা হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ বরিষা শশীভূষণ জনকল্যাণ বিদ্যাপীঠে ভোট দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডোনাও।
লাইন দিয়েই বুথে প্রবেশ করেন তিনি। কোন কোন ইস্যুকে সামনে রেখে ভোট দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? এই প্রশ্নের জবাবে ‘দাদা’ জানান এই প্রশ্ন একেবারেই ব্যক্তিগত। ক্ষমতায় যে সরকার আসতে চলেছে তাদের কাছ থেকেই বা কী প্রত্যাশা রয়েছে সৌরভের? এই প্রশ্নের জবাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় জানান, ‘দেখা যাক কী হয়।’ অর্থাৎ এই সরাসরি কোনও জবাব দেননি সৌরভ।
এদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কোচবিহারের ৪ জন ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এই প্রশ্নের জবাবও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় তাঁকে। সৌরভ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে এই প্রশ্ন কেন করছেন’ অর্থাৎ এই প্রশ্নেরও কোনও জবাব দেননি তিনি। অভিজ্ঞ মহলের একাংশের কথায়, বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে বিতর্কের শিরোনামে সৌরভ। হয়তো নতুন কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি তিনি। তাই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
প্রসঙ্গত, সৌরভের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে বিগত কয়েকমাস ধরেই জল্পনা চলছে। বিশেষত, BCCI প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই মহারাজের রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়। বাংলায় বিজেপির মুখ করা হতে পারে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে, এমন চর্চায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
সম্প্রতি জল্পনা ছড়ায় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে দেখা যেতে পারে BCCI প্রেসিডেন্টকে। যদিও শেষ পর্যন্ত মোদীর ব্রিগেডে সৌরভ যাননি। সৌরভের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘আমার কোনও এ নিয়ে ধারণা নেই। বৈঠকে এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনাও জানি না।’
Be the first to comment