শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টা পর তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই মন্তব্যের পালটা জবাব দিলেন অমিত শাহ। বারাসত দক্ষিণের এক সভায় রবিবার মোদী সেনাপতি বলেন, ‘দিদি বারবার বলছেন, অমিত শাহ ইস্তফা দিন। দিদি, মানুষ যখন চাইবেন, তখন ইস্তফা দেব। কিন্তু, আপনি তৈরি থাকুন। ২ মে’র পর আপানাকে পদত্যাগ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শাহকে চক্রান্তকারী হিসেবেও অভিহিত করেন। কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঢাল করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন অমিত শাহ। ফলে ভোটারদের গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। আর এ প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি তোলেন তিনি।
অন্যদিকে, শীতলকুচির ঘটনায় মমতাকেই দায়ী করেছেন শাহ। এদিন শাহ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উস্কানি না দিলে এই ঘটনা ঘটত না। বাহিনীকে ঘেরাও করার উস্কানি দেন মমতা। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন তিনি। এই চারজনের মৃত্যুর জন্য কি ওঁর দায় নেই? মৃত্যু নিয়ে দু:খপ্রকাশ করেননি মমতা। শোকপ্রকাশেও বিভেদ, তোষণের রাজনীতি করছেন। ‘ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাহিনীর রাইফেল লুঠের চেষ্টা হয়। আত্মরক্ষায় গুলি চালায় বাহিনী। শীতলকুচির ঘটনা দু:খজনক। ভোটের লাইনে খুন হন আনন্দ বর্মণ।’
অমিত শাহ আরও বলেন, ‘এই ঘটনা ছাড়া বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে। কথা দিচ্ছি, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক ও ভোটের হিংসা বন্ধ হবে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোট শুরু হতেই শীতলকুচির পাঠানটুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক যুবকের। বেলা গড়াতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় জোরপাটকি এলাকায়। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এলোপাথারি গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরও চারজনের। নির্বাচন কমিশন জানায় CAPF জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।
Be the first to comment