সোমবার রাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪ ৷ মঙ্গলবার তা দাঁড়িয়েছে ২০ ৷ এই পরিস্থিতিতে মৃত্যুর হার ঠেকাতে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির চিকিৎসকদের নিয়ে চারটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর ৷ এই চারটি কমিটিতে রাখা হবে প্রায় ৪০ জন চিকিৎসককে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে ৷ সংক্রমণের হার ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে বাড়ানো হল কোডিভ হাসপাতাল ও সেগুলিতে শয্যা সংখ্যা ৷ জোর দেওয়া হয়েছে জরুরি পরিকাঠামোতেও ৷
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন । যে হারে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি । না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা ।
নবান্ন সূত্রের খবর, শয্যা সঙ্কট মেটাতে সোমবার রাতে রাজ্যে সরকারি কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা ৪৬ থেকে বাড়িয়ে ৫৬টি করা হয়েছে। একই সঙ্গে শয্যার সংখ্যা ৫,৬০৪টি থেকে বাড়িয়ে ৭,৪২৮ টি করা হয়েছে। এক ধাক্কায় শয্যা সংখ্যা প্রায় দু’হাজার বৃদ্ধি পেলেও রোগীর সংখ্যাও বাড়তে থাকায় তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ একই সঙ্গে জরুরি পরিকাঠামো বাড়ানোর ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও কোভিড বেড বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে ৷
অতিমারি পরিস্থিতিতে রাজ্যের সার্বিক বিষয়টা মাথায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুরসভাও। পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে যে পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, সেখানে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে প্রতিদিন কলকাতা শহরের ৩০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
Be the first to comment