করোনা আবহে বাতিলই হয়ে গেল সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষা ৷ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে মে মাস থেকে শুরু হওয়া দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিলের দাবি উঠেছিল ৷ এই নিয়ে আলোচনার জন্য আজ বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ও শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ঠিক হয়, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাতিল করা হবে সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষা ৷ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ৷
সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের ৪ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দ্বাদশ শ্রেণির যে বোর্ড পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, তা আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে…২০২১ সালের ৪ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দশম শ্রেণির যে বোর্ড পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল করা হচ্ছে ৷”
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিবিএসই ঘোষণা করেছিল যে, এ বছর ৪ মে থেকে শুরু হবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা ৷ সব পরীক্ষা অফলাইন-লিখিত আকারে হবে বলে জানানো হয় ৷ এই ঘোষণা যখন হয়েছিল, তখন দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছিল ১৫ হাজারের-এর আশেপাশে ৷
তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সেই সংখ্যাটাই কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে ৷ আজও দেশের দৈনিক সংক্রমণ রেকর্ড ১,৮৪,৩৭২-তে ছুঁয়েছে ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ গিয়েছে আরও ১০২৭ জনের ৷
এই পরিস্থিতিতে ছাত্রদের মধ্যে কোভিডের সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না-পড়ে, সে জন্য বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ আরও অনেকে ৷
কেজরি বলেছিলেন, “শহরের ৬ লাখ ছাত্রছাত্রী বোর্ড পরীক্ষায় বসবে ৷ ডিউটি থাকবে এক লাখ শিক্ষকের ৷ বোর্ডের পরীক্ষা হলে তার থেকে সাংঘাতিক হারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷ মূল্যায়ণের বিকল্প রাস্তা ভাবতে হবে ৷ হয় অনলাইন পরীক্ষা নয়তো অন্তর্বর্তী মূল্যায়ণের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পাশ করানো উচিত ৷ বোর্ডের পরীক্ষা বাতিল হওয়া উচিত ৷”
একই সুরে রাহুল গান্ধিও বলেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে ভাবে আছড়ে পড়েছে, এই অবস্থায় সিবিএসই পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি আরও একবার খতিয়ে দেখা দরকার ৷ বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব স্টেকহোল্ডারদের এটা ভেবে দেখা উচিত ৷”
Be the first to comment