আগেও খুন হয়েছে, এবারেও হবে, ফের বিতর্কিত মন্তব্য অনুব্রতর

Spread the love

শোকজ করে জবাব তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন। বদলে ফের এক বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘২০১১ তে খুন হয়েছিল, ২০১৪ তে খুন হয়েছিল, ২০১৯ এ খুন হয়েছিল। এবারেও হবে।’ বেফাঁস এই মন্তব্য করে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন তৃণমূল নেত্রীর স্নেহধন্য কেষ্ট।

নির্বাচনে উস্কানিমূলক মন্তব্য, খুনের হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানো ও অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাধাদানের জন্য অনুব্রতর বিরুদ্ধে ইতমধ্যেই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে BJP। রাজনৈতিক সভা থেকে তিনি ‘BJP-কে ঠেঙিয়ে পগারপার’ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শোকজ নোটিশ ধরানো হয় অনুব্রতকে।

মঙ্গলবার রাত ১০টার মধ্যেই জবাব তলব করা হয়েছিল। জবাব না এলে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শোকজ হওয়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে অনুব্রত বলেন, “দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা যে মন্তব্য করছেন তা ঠিক নয়। এটা যদি আমি বলতাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি নজরবন্দি হয়ে যেতাম। আমায় এইভাবে থামাবে ভেবেছে! লাভ নেই। আর ভোট শান্তিপূর্ণ হবে কি না ভবছেন! ২০১১ তে খুন হয়েছিল, ২০১৪ তে খুন হয়েছিল, ২০১৯ এ খুন হয়েছিল। এবারেও হবে।’

উল্লেখ্য, কমিশনকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বলে কটাক্ষ করেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। বোলপুর তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর গলাতেও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কটাক্ষ শোনা যায়।

অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৪ ঘন্টার জন্য প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। অথচ বিজেপির দিলীপ ঘোষের বক্তব্য সধারণ ভোটারদের জন্য উস্কানি মূলক বক্তব্য না?’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘নির্বাচন কমিশন অন্ধের মতো চুপ করে বসে আছে।’ অনুব্রতর এই মন্তব্যের খানিক পরেই অবশ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে দিলীপ ঘোষকে নোটিশ ধরানো হয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় রাহুল সিনহার প্রচারেও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*