বাংলায় বিজেপি সরকার এলেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে মতুয়া-নমঃশুদ্রদের; ঘোষণা শাহের

Spread the love

মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে তেহট্টের সভা থেকে সরব হলেন অমিত শাহ।  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, দিদি গত দশ বছরে কিছু করেননি। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে মতুয়া ও নমঃশুদ্রদের।

মতুয়াদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছে কারা? এনিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের চাপানউতোর বহু পুরানো। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একাধিক সভায় বলছেন সব শরনার্থীরা এদেশের নাগরিক। অন্যদিকে অমিত শাহ বলেছেন, বাংলায় দিদি যতক্ষণ আছেন ততক্ষণ মতুয়া ও নমঃশুদ্ররা নাগরিকত্ব পাবেন না। আরে দিদি! কতদিন আছেন আপনি? ২ মে আপনার বিদায় নিশ্চিত। তারপর মতুয়া ও নমঃশুদ্ররা নাগরিকত্ব পাবে। দিদি, যারা এতদিন এখানে বসবাস করছে তারা নাগরিকত্ব পাবে না? কারণ আপনার ভোটব্যাঙ্কের মানুষদের তাতে আপত্তি আছে বলে? আমরা ভোট ব্য়াঙ্কের রাজনীতি করি না। আমরা ক্ষমতায় এলে ওদের নাগরিকত্ব দেব।

এখানেই থেমে থাকেননি শাহ। তিনি বলেন, যেসব শরনার্থী নাগরিকত্ব পাবেন তাদের জন্য ১০০ কোটির একটি তহবিল তৈরি হবে। মতুয়া ও নমঃশুদ্রদের জন্য ওই টাকা খরচ করা হবে। মতুয়া ”দলপতি’-দের মাসিক ৩০০০ টাকা পেনশন দেওয়া হবে। মতুয়া-নমঃশুদ্র বিকাশ বোর্ড গঠন করা হবে। সরকার গঠন হওয়ার পরই ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম শ্রীধাম ঠাকুরনগর করা হবে। ঠাকুরনগরকে তীর্থক্ষেত্রে হিসেবে গড়ে তোলা হবে। শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ধামকে পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

অনুপ্রবেশ নিয়ে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসকে নিশানা করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে পারবে না? সিপিএম, কংগ্রেসও পারবে না। কারণ ওদের ভোটব্যাঙ্ক হল এই অনুপ্রবেশকারীরাই। এই কাজ একমাত্র পারে বিজেপি। রাজ্যে বিজেপির সরকার গড়ে দিন, সীমান্ত পেরিয়ে মানুষ তো দূরের কথা,পাখিও ঢুকতে পারবে না।

অমিত শাহ বলেন, এখানে জগধাত্রী পুজোর সময়ে পুলিস গুলি চালিয়েছিল। এখানে দুর্গাপুজোর জন্য পুলিসের অনুমতি চাইতে হয়। এবার আর তা হবে না। কাউকে কোর্টে যেতে হবে না। সরস্বতী পুজো দিদির গুন্ডারা রুখে দেয়। বিজেপি সরকার তৈরি করে দিন, কারও ক্ষমতা নেই সরস্বতী পুজো রুখে দেবে। বলুন তো আপনারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান কি না? এই দিদি কি বলেন জানেন? উনি বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করো। আপনাদের বলছি ২২ তারিখ নির্ভয়ে ভোট দিতে যান। দিদির কোনও গুন্ডার ক্ষমতা নেই আপনাদের বাধা দেয়। মানুষ জাগলে গুন্ডারা পালায়। এখন বাংলার মানুষ জেগেছে। দিন বদলেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*