আবার নির্বাচনী প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ শনিবার বঙ্গে দু’টি নির্বাচনী জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ আর দু’টি সভা থেকেই ‘রাম’-এর প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদী ৷ এদিন প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে রামের নাম শুনলে ভয় পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাই যেখানে রামের নাম দেখেন তা বাদ দিতে চান ৷ এর পরই তিনি টেনে আনে ‘রংধনু’ প্রসঙ্গ ৷
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রামধনুর নাম বদলে রংধনু করে দিয়েছে কারণ, তাতে রামের নাম রয়েছে ৷ ভারতের কারও এই নিয়ে কোনও সমস্যা নেই ৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাঙ্কের জন্য এটা করেছে ৷
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে স্কুলের পাঠ্যবইতে কিছু শব্দ বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৷ সেই শব্দগুলির মধ্যেই ছিল রংধনু শব্দটি ৷ যা রামধনু হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত ৷ সেই সময় বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয় যে ‘রাম’ শব্দটি বাদ দিতেই রাজ্য সরকার শব্দটিকে ‘রংধনু’ করে দিয়েছে ৷ সংখ্যালঘু তোষণের জন্য এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় ৷
এদিন সেই প্রসঙ্গই উঠে এসেছে নরেন্দ্র মোদীর মুখে ৷ তবে তিনি সংখ্যালঘু তোষণের বিষয়টি উল্লেখ করেননি ৷ বরং মমতা রাম শব্দে ভয় পান বলেই অভিযোগ করেছেন ৷
এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে জনসভা থেকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ আর তা বলার আগে গঙ্গারামপুরের নামের প্রসঙ্গ টেনে এনেও তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেন মোদী ৷ তাঁর কথায়, গঙ্গারামপুরের নামে মা গঙ্গা ও প্রভু রামের নাম যুক্ত রয়েছে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা গঙ্গা ও প্রভু রামের নামের প্রতি ঘৃণা আছে ৷ গঙ্গার তীরে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের নিয়ে খারাপ কথা বলেন ৷ আর রামের নাম শুনলেই রেগে যান ৷
শনিবার নরেন্দ্র মোদীর প্রথম জনসভাটি ছিল আসানসোলে ৷ ওই সভা থেকে তিনি রামনবমীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন ৷ ওই এলাকায় কয়েক বছর আগে রামনবমীকে কেন্দ্রে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়েছিল ৷ এই নিয়ে আসানসোলের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেন মোদী ৷
Be the first to comment