গোবরডাঙায় হাসপাতাল হবে। আমি পিছনে দাঁড়িয়ে থেকে দেখব কী করে না হয়। সোমবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটার বিজেপি প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরের সমর্থনে গোবরডাঙায় জনসভা করতে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। অসুস্থ শরীরে বেশি সময় বক্তব্য না রাখতে পারলেও ভাঙা গলায় গোবরডাঙার আবেগকে হাতিয়ার করলেন তিনি।
২২ এপ্রিল গাইঘাটা কেন্দ্রে নির্বাচন। সোমবার ভোট প্রচারের শেষ দিন। আর শেষদিনের প্রচারে সুব্রত ঠাকুরের সমর্থনে গোবরডাঙা আদিবাসী মাঠে জনসভা করেন তিনি। রবিবার রায়গঞ্জে গিয়ে অসুস্থ হন মিঠুন ৷ সেই অসুস্থ শরীরেই পরের দিনই আসেন গোবরডাঙায় ৷ বেশিক্ষণ বক্তব্য রাখতে পারেননি তিনি। তবে যেটুকু সময় বক্তব্য রেখেছেন তার বেশিরভাগ অংশই গোবরডাঙার আবেগ, গোবরডাঙা হাসপাতালকে হাতিয়ার করেছেন।
ঠিক তার আগের দিনই একই আবেগকে হাতিয়ার করে সভা করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পরের দিনই মিঠুনও তাই করলেন ৷ এদিন ভাঙা ভাঙা গলায় তিনি বলেন, “সোনার বাংলা গড়তে হলে সুব্রতকে জেতাতে হবে। সুব্রত কাজের ছেলে। গোবরডাঙায় হাসপাতাল হবে। আর আমি ওর (সুব্রত) পিছনে দাঁড়িয়ে থেকে দেখব কী করে না হয়।
তিনি আরও বলেন, অসুস্থতার কারণে আমি বেশি কথা বলতে পারছি না। আমি আবার আসব। গোবরডাঙার হাসপাতাল উদ্বোধন করতে। গোবরডাঙাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা হাসপাতালটিকে সাধারণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র করা হোক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব রাখলেও সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে হাসপাতালটিকে করোনা হাসপাতাল করা হয়েছে।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী গোবরডাঙায় জনসভা করতে এসে বলে গিয়েছেন, তাঁদের প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস জিতলে হাসপাতাল করে দেওয়া হবে। আজ হাসপাতাল করার আশ্বাস দিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও মিঠুন চক্রবর্তীও ।
Be the first to comment