গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। বেনজির এই পরিস্থিতিতে আরও একবার নির্বাচনের সংযুক্তিকরণ চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে একটি দাবিপত্র পেশ করেন চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানে তৃণমূল দাবি রাখে, সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন জুড়ে যাতে একদিনে করা যায়, সেই ব্যবস্থা নিক কমিশন।
প্রসঙ্গত ২২ এপ্রিলই ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। এত কম সময়ে এই পর্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব নয়। সে কথা মাথায় রেখেই তৃণমূল চাইছে, অন্তত ২৬ এপ্রিল ও ২৯ এপ্রিলের ভোটগ্রহণ একসঙ্গে করার কথা যাতে বিবেচনা করে কমিশন। গোটা দেশের মতোই এ রাজ্যে কোভিডের বাড়বাড়ন্তকে সামনে রেখেই তৃণমূলের এই আর্জি।
উল্লেখ্য অতীতেও এই সংযুক্তিকরণের পক্ষ সওয়াল করে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু কমিশন এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তৃণমূলের দেওয়া চিঠিতে হাইকোর্টের ১৩ এপ্রিলের নির্দেশর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে হাইকোর্ট করোনা-বিপর্যয় রুখতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে কমিশনকে।
তৃণমূলের যুক্তি, ইতিমধ্যেই কমিশন প্রচারের সময়সীমা কমালেও তাতে ঝুঁকি কমছে না , বিপর্যয় এড়াতে প্রয়োজন সার্বিক ভাবেই দিনসংখ্যা কমিয়ে আনা।চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে গোটা বিষয়টা একদিনে নিষ্পত্তি হওয়া জরুরি। কমিশন যেন বিষয়টি বিবেচনা করে।
ওই চিঠিতেই আরও, বলা হয়েছে ইতিমধ্যেই ৫২ দিন প্রচার করে ফেলেছে সব দলের প্রার্থীরা, কাজেই দফা সংযুক্তিকরণে কোনও ভাবেই প্রচারের ক্ষতি হবে না।
তাছাড়া মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট জারি থাকাকালীন রাজ্যের বেশির ভাগ উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তারা নির্বাচনী কাজেই ব্যস্ত। করোনার মধ্যেই কম সংখ্যক আধিকারিক নিয়ে কাজ করাটা যে অসুবিধের তা কমিশনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চায় ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল বলছে নির্বাচনের অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার দুটিই রাজ্যবাসীর মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার। এই দুই অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে রাজ্য এখন কমিশনের দিকে চেয়ে, এমনটাই মত তৃণমূলের।
Be the first to comment