মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা পরেই ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। কিন্তু এখনও জারি সন্ত্রাস। রাজনৈতিক হিংসায় ফুটছে বাংলা। সোমবার রাতেই ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের শেষ প্রচারের পরে উত্তর দমদমের নিমতায় বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে।
নিমতার পাটনা ঠাকুরতলা অঞ্চলের বিজেপি কর্মী অনুপ বাড়ুইয়ের অভিযোগ, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। অভিযোগ, বোমা বিস্ফোরণের জেরে অনুপবাবুর বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে যায়। পুড়ে যায় সমস্ত দলীয় পতাকা। বোমাবাজির ঘটনায় তৃণমূলের পাঁচ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে নিমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। যদিও এই হামলা নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি শাসক শিবির। নীরব স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
নিমতা পুলিশ জানিয়েছে, বোমাবাজির ঘটনায় দুটি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাইক থেকে বেশ কিছু বোমা ও বিস্ফোরক সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এই পাটনা এলাকাতেই বিজেপি করার অপরাধে গোপাল মজুমদার ও তাঁর অশীতিপর বৃদ্ধা মা শোভারানি মজুমদারকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই বৃ্দ্ধার মুখ। যার জেরে রাজনীতির জল গড়ায় অনেকদূর।
‘মহিলা সুরক্ষা’-কে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচিত হয় মমতা সরকার। গত ২৯ মার্চ মৃত্য়ু হয় শোভারানি দেবীর। সম্প্রতি, বিভিন্ন জনসভায় অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা-সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতৃত্বের মুখে শোনা গিয়েছে, শোভারানি দেবীর মৃত্য়ুর জন্য তৃণমূল সরকারই দায়ী।
Be the first to comment