করোনা আবহে বন্ধ হয়ে গেল ব্যান্ডেল চার্চ। বুধবার থেকে সাধারণ দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে না এই চার্চে। গতকাল বিকেলেই চার্চ কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ জারি করে। ব্যান্ডেল চার্চ প্রবেশ দ্বারের সামনেই হোর্ডিং আকারে সেই নোটিশ টাঙিয়ে রাখা হয়েছে।
এদিন সকালে দর্শনার্থীরা দেখেন এসে দেখেন চার্চের দরজা বন্ধ। প্রসঙ্গত, গত বছর কোভিড মহামারীর জেরে দীর্ঘ কয়েকমাস ব্যান্ডেল চার্চ জনসাধারণের জন্য বন্ধ ছিল। ৪২২ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই ব্যান্ডেল চার্চ দেখতে সারা বছরই দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। চার্চের ফাদার এল ফ্রান্সিস জানান, ফের করোনার প্রকোপ বাড়ায় চার্চ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে বিশেষ প্রার্থনার জন্য করোনা বিধি মেনে ৫০ জন হাজির থাকতে পারবেন। পাশাপাশি হুগলি জেলার অপর প্রান্তে শ্রীরামকৃষ্ণর জন্মস্থান কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠেও দর্শনার্থীদের প্রবেশের ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
ওই মঠের অধ্যক্ষ স্বামী লোকত্বরানন্দ মহারাজ জানান , ‘আমাদের নিয়মবিধি সবটাই নির্ভর করে বেলুড় মঠের উপর। আগামীকাল থেকে বেলুড় মঠ সাধারণ দর্শকদের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখানে কোভিড পরিস্থিতি ততটা বোঝা যাচ্ছে না। অবস্থা বেশি খারাপ হলে এখানকার প্রবেশদ্বার ও দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, করোনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হচ্ছে বেলুড় মঠ। সম্প্রতি দেশ তথা রাজ্যে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে কোভিড রোগীর সংখ্যা। এরইমধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন ও বেলুড় মঠের আবাসিক সন্ন্যাসী ও ভক্তদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বেলুড় মঠ। এই মর্মে একটি ভিডিয়োবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। এই ভিডিয়োয় বেলুড় মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ বেলুড় মঠ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মঠ ও মিশনের সমস্ত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন তিনি।
ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানান, আগামী ২২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বেলুড় মঠ বন্ধ থাকবে। তবে বেলুড় মঠের ইউটিউব চ্যানেল থেকে সন্ধ্যারতি ও সমস্ত পুজো সরাসরি দেখতে পারবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রাদুর্ভাব কমার পর চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি বেলুড় মঠ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফে। সকাল সাড়ে আটটা থেকে থেকে ১১টা এবং বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বেলুড় মঠ খোলা হয়েছিল মঠের ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য। তবে প্রসাদ বিতরণ, আরতি দর্শন, মহারাজকে প্রণাম বন্ধ রাখা হয়েছিল।
Be the first to comment