সংকটজনক মদন মিত্র, এসএসকেএম থেকে স্থানান্তর করা হলো অ্যাপোলো হাসপাতালে

Spread the love

ক্ষতিগ্রস্থ ফুসফুস, ওঠা-নামা করছে অক্সিজেনের মাত্রা। সংকটজনক হলেও কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা বাড়ছে। বুধবার সন্ধ্যার পরে মদন মিত্রের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত বাইপাসের বেসরকারি এই হাসপাতালের ৩৫২৪ নম্বর ICU-তে চিকিৎসাধীন তিনি।
অ্যাপোলো হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছেন, নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন বাইপ্যাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। তবে বুধবার রাতে যে অবস্থায় বর্ষীয়ান এই নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার তুলনায় ভাল আছেন তিনি। রাতে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই কম ছিল, সেই তুলনায় সকালের পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে শ্বাসকষ্টের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় তড়িঘড়ি মদন মিত্রকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। দুপুরেই উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এলে বাইপাস সংলগ্ন অ্যাপোলো গ্লেনেগলসে স্থানান্তর করা হয়।
এদিন শরীরে ব্যাপক অক্সিজেনের ঘাটতি হচ্ছিল মদন মিত্রের। বাইরে থেকে অক্সিজেন না দিলে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৪০-এ নেমে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে চার লিটার অক্সিজেন দিতে হয় তাঁকে। পাশাপাশি, তাঁর নিউমনিয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, পঞ্চম দফায় কামারহাটিতে ভোটের দিন বিকেলের পরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মদন মিত্র। সেদিন স্থানীয় এক কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু পুরোপুরি সমস্যা কাটেনি তারপরেও। এরপর আজ সকাল থেকে ফের গুরুতর অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতালে ভর্তির।
প্রসঙ্গত, পঞ্চম দফা নির্বাচনের দিন সকালে দক্ষিণেশ্বরে হালকা মেজাজে পুজো দিলেও শেষ বেলায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা। সেই সময় চিকিৎসকরা বলেছিলেন ভয়ের কিছু নেই, ভোটের দিন একটু বেশি স্ট্রেস এবং প্রখর গরম থেকেই এমনটা হয়েছে। সুগার-প্রেসার সব রিপোর্ট ঠিকই ছিল বলেও জানানো হয়। এরপর গতকাল ফের অসুস্থতা বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দুপুরের দিকে। সেখানেই করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*