পিয়ালি আচার্যঃ বাংলা সাংবাদিকতায় এক পরিচিত নাম তরুণ গোস্বামী। কলকাতা কর্পোরেশন হোক বা মহাকরণ অথবা রাজনৈতিক বিটের আনাচেকানাচে অবাধ বিচরণ তাঁর। এক্সক্লুসিভ খবর জোগাড়ে তাঁর মুন্সিয়ানা অনেকের কাছেই ঈর্ষার বিষয়। হার্ড নিউজের খবর ছাপানোয় পারদর্শী তরুণ বাবু ঠোঁটের জাদুতে মুগ্ধ করে দেন হলভর্তি দর্শককে। মনে পড়ে তরুণদা বিধানসভার খবর যখন কভার করতেন তখন রিসেস বা বিরতির সময় আমাদের মতো জুনিয়র সাংবাদিকদের অনুরোধে শিস দিয়ে গেয়ে উঠতেন উই শ্যাল ওভার কাম সাম ডে অথবা এই রাত তোমার আমার। ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৭ সেই তরুণ গোস্বামীকেই পাওয়া গেলো নিজের মেজাজে। শিসধ্বনির মাধ্যমে একের পর এক সুর, মন্ত্রমুগ্ধ করে দিলো সমবেত দর্শকমন্ডলীকে। অনুষ্ঠানটি হয় উত্তম মঞ্চে। দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এক মনে শুনছিলেন তরুণ গোস্বামীর হুইসলিং তথা শিসধ্বনি। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিখ্যাত বাচিক শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। সূত্রধরের ভূমিকাও পালন করছিলেন তিনি। জিঙ্গল বেলের সু্রে সকলেই যখন ক্রিসমাসের স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন তখন তরুণবাবু জানান, এটি আদপে ক্রিসমাস ক্যারল নয় কিন্তু পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় গান। প্রচলিত হয়ে এসেছে ক্রিসমাস ক্যারল হিসাবে। মান্না দে’র কঠিন সঙ্গীতগুলির সুর তরুণ গোস্বামী দক্ষতায় শ্রোতার কানে যেন মধুর ধ্বনির মত বাজে। “ইয়ে মেরি জোহরাজাবিন তুঝে মালুম নেহি তু আভিতক হ্যায় হাসিন ম্যায় জওয়ান, তুঝসে কুরবান মেরি জান, মেরি জান” এর মতো কঠিন গানও কি সাবলীল ভাবে তরুণবাবু পরিবেশন করলেন তা না শুনলে বিশ্বাস করা যায় না। অবশ্য এই কথাই বা বলবো কেন আপনারা নিজের কাজেই শুনুন সেই সুরের সাধনার কিছু অংশ। “আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে” পরিবেশনার সময় পুরো পরিবেশটাই যেন হয়ে ওঠে যেন আনন্দমুখর। ইংরেজী নতুন বছরের প্রাক্কালে এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার জীবনে। নতুন বছর হোক শুভ সুন্দর।
চিত্রগ্রাহকঃ প্রশান্ত দাস
Be the first to comment