WHO অক্সিজেন নিয়ে সাবধান করেছিল আগেই, কেন্দ্র কর্ণপাত করেনি, বিস্ফোরক মমতা

Spread the love

নির্বাচনী বিধি মেনে জনসভা বাতিল করেছেন আগেই। এবার নবরূপে ভার্চুয়াল জনসভায় প্রচার সারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয় প্রার্থীর হয়ে এই সমাবশ হল দুর্গাপুর থেকে। মমতার বক্তব্যের গোটাটা জুড়েই থাকল করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের ব্যর্থতা।  বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, বাংলার অক্সিজেন সাপ্লাই চেন ‘সেল’ উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। তাঁর কথায়, “বাংলাকে ভাতে মারতে চায়। তাই অক্সিজেন দিচ্ছে না।”

তাহলে কি আগামিদিনে বাংলায় আরও অক্সিজেন সংকট দেখা দিতে পারে? উত্তরে মমতা অভয় দিলেন। বললেন, “আমরা রাজ্যের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন পুরোটা নিয়ে নিয়েছি। শিল্পের কাজে ব্যবহৃত অক্সিজেন এবার স্বাস্থ্যে ব্যবহার হবে। এখন এই মুহূর্তে ২০ হাজার সিলিন্ডার মজুত রয়েছে আমাদের কাছে। “

গত দুদিন যাবৎ দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, গত ৭ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী  হর্ষবর্ধন বলেছিলেন, কোভিড চলে গিয়েছে। কিন্তু বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা অক্সিজেন মজুত রাখতে বলেছিল ২০২০ সালেই। কেন তা শোনা হল না? হু-এর এই নির্দেশিকার কথা আমাদের জানানোই হয়নি।

প্রসঙ্গত মমতা যখন এদিন ভার্চুয়াল প্রচার করছেন, তার কিছুক্ষণ আগেই দশ অতি বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্র্রী। মমতার অভিযোগ শোনা গেল তাই নিয়েও। বললেন, আমাকে মিটিংয়ে আমন্ত্রণ করেনি। ডাকলে কথা বলতাম।

ভ্যাকসিন নিয়ে অনুযোগ করতে শোনা যায় তাঁকে এদিন। তাঁর কথায়, “৬০ শতাংশ ভ্যাকসিন গুজরাট পেল কিন্তু অন্য রাজ্যগুলি ১৫ শতাংশ মতো পেয়েছে। গুজরাটে পার্টি অফিস থেকে ইনজেকশান দিচ্ছে।”

অতীতে বারংবার বিনেপয়সায় ভ্যাকসিন কিনতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন মমতা। অনুযোগ জানিয়েছেন ভ্যাকসিনের যোগান চাহিদা অনুযায়ী না হওয়ায়। একই টিকা কেন তিন দামে কিনতে হবে, এই নিয়েও বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুলতে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।  তিনি বলেন এর ফলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীকে মদত দেওয়া হবে। আজ মমতা ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বলেন, পিএম কেয়ারে লোকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে। নতুন লোকসভা, মূর্তি তৈরি করতে কতটাকা খরচ হয়েছে?  কেন মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পারছে না? আসলে অন্যান্য দেশে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছে ওরা।

প্রসঙ্গত কমিশনকেও এদিন একহাত নিতে ছা়ড়েননি মমতা‌ পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগে এদিনও সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর যুক্তি, নির্বাচন কমিশন বিজেপির কথা শুনে চলে। তিনি এদিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মিটিং ক্যানসেল হতেই সব কর্মসূচি বাতিল করতে বলল কমিশন। ওদের সব নির্দেশিকা আসে রাত দশটায়। শেষ মুহূর্তে  সব জানানো হয়। সব মেনে নিয়েছি জনগণের স্বার্থে।

মমতা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বারংবার অনুরোধ করেছিলাম নির্বাচন সংযুক্তিকরণ করতে, সেটা করেনি।আর করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণ হিসেবে মমতার যুক্তি সেই বহিরাগতর ভিড়। তাঁর মত, “বাইরের দুই লক্ষ ফোর্স  (কেন্দ্রীয় বাহিনী) রাজ্যে রয়েছে। বিজেপির সব রাজ্যের মন্ত্রীসান্ত্রী পড়ে রয়েছে। তাদের আরটিপিসিআর টেস্ট হয়নি।” মমতা মনে করছেন আমজনতা কোভিড আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ এই লাগামছাড়া ভিড়ই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*