দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে শুক্রবার তীব্র ভর্ৎসনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাল্টা জবাব না দিয়ে ক্ষমা চাইলেন কেজরিওয়াল।
বিষয়টি ঠিক কী? এদিন দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন এই বৈঠকই সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন কেজরি। এদিন কেজরিওয়াল বলেন, ‘দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা থাকা উচিৎ। বাকি রাজ্যগুলি সেই পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করবে…’। এই কথা চলাকালীন তাঁকে থামিয়ে দেন মোদী। ঝাঁঝালো সুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেজরিওয়ালকে বলেন, ‘এটা কী হচ্ছে…এটা আমাদের পরম্পরার বাইরে। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার কীভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেন?’ এখানেই শেষ নয়, মোদী আরও বলেন, ‘এটা ঠিক নয়। শৃঙ্খলা বজায় রাখা উচিত।
এরপরেই কেজরিওয়াল বলেন, ‘ওকে স্যার, এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে আমি সেই দিকে খেয়াল রাখব।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমার থেকে কিছু ভুল হয়, আমি কড়া কোনও ভাষা প্রয়োগ করে থাকি, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের যে নির্দেশ দেওয়া হবে তা আমরা মেনে চলব।
সূত্রের খবর, এই বৈঠক জনসমক্ষে আনার অনুমতি ছিল না। এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রীর এবং মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বৈঠক এভাবে প্রদর্শিত হল। বিজেপির একাংশের দাবি, করোনা পরিস্থিতি সমাধানের জন্য নয়, শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্যই এদিনেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন কেজরি।পরে অবশ্য এই পুরো ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বৈঠকটি লাইভ করছিলেন কারণ এই বৈঠকের সম্প্রচার সম্ভব নয়, এই ধরনের কোনও নির্দেশিকা মৌখিক বা লিখিতভাবে এসে পৌঁছায়নি।’ তবে এই ঘটনায় যে কোনও ‘অসুবিধার’ জন্য ক্ষমা চেয়েছে কেজরির দফতর।
Be the first to comment