অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ গেল অন্তত ছ’জনের ৷ যাঁর মধ্যে পাঁচজনই ছিলেন করোনায় আক্রান্ত ৷ শনিবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় পঞ্জাবের অমৃতসরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৷
মৃতদের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁদের প্রিয়জনেরা অমৃতসরের নীলকান্ত মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৷ সকলকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল ৷ কিন্তু সেখানে অক্সিজেনের সরবরাহ ছিল না ৷ যার জেরেই মৃত্য়ু হয় ছ’জনের ৷
মৃতদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ২৮ বছর ৷ ওই যুবকের দাদা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘আমার ভাইয়ের নাম গুরুদেব সিং ৷ ওঁর শ্বাসকষ্ট হয়েছিল বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ তারপর ভালই ছিলেন তিনি ৷ কিন্তু অক্সিজেনের সরবরাহ না থাকায় গতকাল রাতে ওঁর মৃত্য়ু হয় ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অমৃতসরের ডেপুটি কমিশনারের নির্দেশ মাফিক সমস্ত নিয়মবিধি পালনের পরই আমরা ভাইয়ের দেহ পাব ৷’’
গুরুদেবের পরিবারের দাবি, হাসপাতালে অক্সিজেনের সঙ্কটের কথা শুক্রবার রাতে তাঁদের জানানো হয় ৷ বলা হয়, সরকারের তরফে অক্সিজেনের সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণে না থাকাতেই এই সমস্য়া তৈরি হয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে পরিবারকেই অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করতে বলা হয় ৷
হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনেক আগে থেকেই জেলা প্রশাসনকে অক্সিজেনের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা ৷ কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কিছুই ৷ তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের নোডাল অফিসার আমাদের জানিয়েছেন, আগে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে ৷ সেখানকার প্রয়োজন মিটিয়েই বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন দেওয়া হবে ৷’’
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার ভারতের একাধিক রাজ্য়ে ইতিমধ্যেই মেডিক্য়াল অক্সিজেনের অভাব ভয়াবহ আকার নিয়েছে ৷ দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো পঞ্জাবেও দিন দিন বাড়়ছে এই সমস্যা ৷
Be the first to comment