করোনায় ‘ব্রাত্য’ অধ্যাপকের দেহ সাত ঘণ্টা বাড়িতে, মুখ ফেরালো কলকাতা পুলিশও

Spread the love

ফের দেখা গেল শহর কলকাতার অমানবিক মুখ ৷ করোনায় মৃত অধ্যাপকের দেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে রইল বাড়িতে ৷ সংক্রমণের ভয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনরা ৷ স্থানীয় থানায় ফোন করেও মিলল না সাহায্য ৷

মৃত অধ্যাপকের নাম আদিত্য চট্টোপাধ্যায় । তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাতত্ত্ব (স্ট্যাটিস্টিকস) বিভাগের অধ্যাপক । মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার আদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷ মৃদু উপসর্গ থাকায় চিকিসৎসকদের পরামর্শমতো বাড়িতেই ছিলেন । কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ৷ শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ওই অধ্যাপকের মৃত্যু হয় ।

তারপর কেটে যায় দীর্ঘ সাতটি ঘণ্টা । পরিবারের লোকজন প্রথমেই লোকাল থানাতে খবর দেন । কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি । প্রশাসনের থেকে সাড়া মেলেনি ৷ সংক্রমণের ভয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি প্রতিবেশী বা আত্মীয়স্বজনরা । দীর্ঘক্ষণ নিথর দেহ পড়ে ছিল শোওয়ার ঘরের বিছানায় ৷ খবর ছড়াতেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পৌরসভা । অবশেষে বেলা ১২টা নাগাদ পৌরসভার লোক শববাহী গাড়ি নিয়ে এসে শেষকৃত্যের জন্য দেহ ধাপায় নিয়ে যায় ।

শুক্রবার এমনই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে শহর কলকাতা । বিনা চিকিৎসায় এবং অক্সিজেনের অভাবে প্রথমে মৃত্যু হয় গড়ফা নিবাসী এক বৃদ্ধার । তারপরে কেটে যাই দীর্ঘ ১৫ ঘন্টা । ঘরেই পড়ে ছিল বৃদ্ধার মৃতদেহ । প্রশাসন ছিল নির্বিকার ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*