সিপিএম প্রার্থী ঐশী ঘোষকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। জামুড়িয়ায় শালডাঙার বুথে ঐশী গেলে তাঁকে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ঐশীর দাবি, “আমাকে ওরা বলছে নিয়ম জানে না। ভোট করাতে এসেছে অথচ নিয়ম জানে না এটা তো আশ্চর্যের বিষয়।” একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সোমবার সপ্তম দফার ভোট। এই দফায় পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। জামুড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী ঐশী ঘোষ। এদিন সকাল থেকেই বুথে বুথে ঘুরছেন প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, শালডাঙায় বুথে ঢোকার মুখে তাঁকে আটকে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরিচয়পত্র দেখিয়েও কাজ হয়নি। বারবার উচ্চপদস্থদের কথা বলতে থাকে। ঐশীও নাছোড়। তিনিও জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থী যখন বুথে ঢুকতে পারেন, তিনিও ঢুকবেনই।
ঐশী জানান, “বলছে নিয়ম জানি না। ভোট করাতে এসেছে অথচ নিয়ম জানে না এটা তো অবাক করা কথা। প্রার্থী যে দলেরই হোক ওরা এভাবে বাধা দিতে পারে না। প্রার্থী, প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের অধিকার বুথের ভিতরে ঢোকা। আমাদের তো দেখতে হবে সব ঠিকমত চলছে কি না। মেশিন ঠিক আছে কি না। কোনও সমস্যা থাকলে আমাদের তো জানাতে হবে। ভোটার যেখানেই ভোট দিন না কেন, তাঁরা ঠিকমত তা পারছেন কি না সেটাও তো নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এখানে বাধা দেওয়া হলে আমরা কিন্তু রুখে দাঁড়াব। ভোটারের কাছে পৌঁছতে বাধা দিলে একদমই তা বরদাস্ত করব না।”
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন ঐশী। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করছে তা তো দেখতেই পাচ্ছি। এক একটা জায়গায় দেখছি চেয়ারে বসে আছে। আইডি পর্যন্ত দেখছে না। এমনও হয়েছে একজন প্রার্থী হিসাবে আমি ওদের কার্ড দেখিয়েছি, বলেছি আমি প্রার্থী, ভিতরে ঢুকছি। কেউ যদি ঢুকে যায় বুথে ওরা তাও দেখবে না। ছায়ায় চেয়ার পেতে বসে আছে। এগুলো তো প্রত্যাশিত নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো পাহারা দেবে, দাঁড়িয়ে ভোট করাবে। তারা বলছে নিয়ম জানে না। এটা তো সারপ্রাইজিং। এই চক্রান্ত আমরা বরদাস্ত করব না। আমাদের লোকজন আছে। তা হলে আসব এখানে। ভোট করাব যদি বাধা দেওয়া হয়।”
Be the first to comment