দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। গবেষণা বলছে এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ৯ জন সাধারণ মানুষকে সংক্রমিত করতে পারেন। যার ফলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। বাড়তি করোনা আক্রান্তকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। কোথাও অক্সিজেন নেই, কোথাও বেড নেই। এই পরিস্থিতিতে করোনা উপসর্গযুক্তদের হাসপাতালের থেকে ফেরানোর খবর আসছিল। করোনা রিপোর্ট না থাকলে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ আসছিল। এ বার সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণে তাৎপর্যপূর্ণ কথা জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানিয়েছে, করোনা রিপোর্ট না থাকলে উপসর্গযুক্ত রোগীকে ফেরানো যাবে না।
প্রধান বিচারপতি ডিএন পাটেল ও বিচারপতি জসমিত সিংয়ের বেঞ্চ এই বিষয়ে ২৩২ এপ্রিলের সার্কুলার সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একটি জনস্বার্থ মামলা গায়ের করেছিলেন জয়দীপ গুহ নামে এক জনৈক ব্যক্তি। যেখানে তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের সার্কুলারের কথা উল্লেখ করে হাসাপাতালে উপসর্গযুক্ত রোগী ভর্তির আগে করোনা রিপোর্ট দেখতে না চাওয়ার আবেদন করেন।
দিল্লি সরকারও জানায় এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই সার্কুলার জারি হয়েছে। এরপর হাইকোর্ট সেই সার্কুলার দ্রুত সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কেজরীবাল সরকার হাইকোর্টকে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন রোগীকে একটি অন্য ওয়ার্ডে রাখা হবে। প্রসঙ্গত,গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ২৮১২ জনের।
এটিই এখনও অবধি দৈনিক মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ১৬৩-তে। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪ হাজার ৩৮২ জন। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৫৮।
Be the first to comment