২ মে তৃতীয়বার বাংলায় ক্ষমতায় আসছে তৃণমূলই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে এমনই আত্মবিশ্বাসের ছাপ লক্ষ্য করা গেল। তাই মুখে কিছু না বললেও সোমবার ভোটাধিকার প্রয়োগের পর ভিকট্রি সাইন দেখিয়েই সবটা বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরই পায়ে চোট পেয়েছিলেন। তারপর সমস্ত ভোট প্রচার সারেন হুইলচেয়ারে বসেই। প্লাস্টার করা পা নিয়েও এক মুহূর্ত বিশ্রাম নেননি। জনসভা থেকে র্যালি- নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী সবই চালিয়েছেন নিজের চেনা ভঙ্গিতেই। প্রতি পদে দলীয় প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। আজই সেই ভোট প্রচারের শেষ দিন। আর এদিন নিজেও ভোট দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বেলা ৩টে ৫২ নাগাদ হুইলচেয়ারে বসে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর কেন্দ্রের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দেন তিনি। যে কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির হয়ে লড়ছেন রুদ্রনীল ঘোষ। হুইলচেয়ারের কথা মাথায় রেখে আগেই বিশেষভাবে মসৃণ পাটাতনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখান দিয়েই বুথের ভিতর ঢোকেন। আর ভোটদানের পর বেরিয়েই ‘V’ দেখান তৃণমূল সুপ্রিমো। বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, অষ্টম দফায় জেলার পাশাপাশি কলকাতার বেশ কয়েকটি আসনে নির্বাচন। ভোটদানের আগেই তাই শেষ প্রচার সারলেন। মির্নাভা থিয়েটারে শেষ নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা। সেখান থেকে ফের করোনা পরিস্থিতির জন্য মোদি ও নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগলেন তিনি। বললেন, “একজন প্রধানমন্ত্রী বিপর্যয় মোকাবিলা না করে বাংলা দখল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁর জন্যই করোনার এই অবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর এই আচরণ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” পাশাপাশি কমিশন প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
Be the first to comment