ফের উত্তেজনা শীতলকুচিতে, পুলিশকে ‘বিজেপির দালাল’ বললেন তৃণমূল প্রার্থী

Spread the love

গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। বাংলার বিধানসভা ভোটে এক অভিশপ্ত দিন ছিল সেটি। ঘটনার জেরে চলে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। ওই দিন শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শেষ দফার দিন ফের ভোট হচ্ছে সেই বুথে। আর বৃহস্পতিবার ফের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল সেই বুথে। বিজেপি প্রার্থী আসায়, পুলিশকে ‘বিজেপির দালাল’ বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল প্রার্থী।

এ দিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয় ওই বুথে। নিহতদের পরিবারের অনেক সদস্যও ভোট দিতে আসেন এ দিন। কিন্ত বেলা বাড়তেই উত্তেজনা তৈরি হয়। বুথ পরিদর্শণে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। পতাকা লাগানো গাড়িতে কেন এলেন তিনি তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। ছুটে যান তৃণমূল প্রার্থী।
বিজেপি প্রার্থী বরেণ বর্মণ বুথে পৌঁছলেই তাঁকে তৃণমূলকর্মীরা সদলবলে ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ।

তৃণমূলের দাবি, বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে গাড়িতে দলীয় পতাকা লাগিয়ে এসেছেন বিজেপি প্রার্থী। এরপরই পুলিশকে বিজেপির দালাল বলে চীৎকার করেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘কমিশনের আধিকারিকদের সামনেই এ ভাবে পতাকা নিয়ে আসছেন বিজেপি প্রার্থী। আমরা সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হচ্ছি।’

চতুর্থ দফা ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ যুবকের। তৃণমূল দাবি করে, ওই চারজনই ছিলেন তাঁদের সমর্থক। অন্যদিকে বাহিনীর দাবি, হঠাৎই ভোটকেন্দ্রের সামনে ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরেছিল। দু-পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় তারা। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। এদিকে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দাবি করে, সন্ত্রাস করে ভোট করতে গেলে এমণ পরিণতিই হবে। তাঁরা এঘ ঘটনার পিছনে তৃণমূল সুপ্রিমোর ‘প্ররোচনামূলক’ মন্তব্যকে দায়ী করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*