‘আমাকে লাথি মেরেছে কাউন্সিলরের ছেলে’, বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগে উত্তপ্ত মানিকতলা

Spread the love

বিধানসভা ভোটের অষ্টম দফায় সকাল থেকেই শিরোনামে কলকাতা। সাতসকালেই মহাজাতি সদনের সামনে বোমাবাজির ঘটনা। তারপরই রবীন্দ্র সরণিতে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ফেলা হয় বোমা। অন্যদিকে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর সম্মুখ সমরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মানিকতলা। তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে লাথি মেরেছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে।

অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডের দাবি, তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরের গলা টিপে ধরেছেন বিজেপি প্রার্থী। আর এই চাপানউতোরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী।

এদিন সকালে বুথ পরিদর্শনে যান কল্যান চৌবে। ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছিল না এমন খবর পেয়েই তিনি এসেছিলেন বলে দাবি করেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, তাকে সরানোর জন্য এগিয়ে আসে তৃণমূলের লোকজন। তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে বচসা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ এসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে।

কিন্তু পুলিশের সামনেই তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দার গুহর ছেলের শৌভিক গুহ তাঁকে লাথি মেরেছে বলে অভিযোগ জানান কল্যান চৌবে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তিনি দেখান তাঁর হাত থেকে রক্ত বেরচ্ছে। কার্যত মানিকতলায় পুলিশের সামনেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

অন্যদিকে এই খবর পেয়ে ছুটে যান তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডে। তাঁর দাবি, তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা গুহর গলা টিপে ধরেছেন কল্যান চৌবে। আর এই ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে বর্ণনা করেন তিনি। একই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা গুহ। তিনি বলেন, ‘এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট ছিল এলাকায়।’ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন বেশ কয়েকটি গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে। সুনন্দা গুহর কথায়, সেই গাড়িতে ছিল বহিরাগত ক্রিমিনালরা। গাড়ি থেকেই তাঁকে সরে যেতে বলা হয়। তিনি সরতে না চাইলে সজোরে তাঁর গলা চেপে ধরে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

সকালে এক দফা ঝামেলার পর বেল বাড়তে ফের উত্তেজনা ছড়ায় মানিকতলায়। জানা গিয়েছে অপেক্ষাকৃত কম সমর্থক নিয়ে এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। আর তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে ছুটে আসেন বহু তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিকভাবেই দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বচসা হাতাহাতি চলে।

কল্যাণ চৌবে বলেছেন, ‘আমার ওপর যে কোনও সময় আক্রমণ হতে পারে। অনেক বুথে তৃনমূল রিগিং করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নীরব , পুলিশও নীরব। অধিকাংশ জায়গায় আমাদের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ কমিশনারকে সব জানিয়েছি।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*