বৃহস্পতিবার রাজ্যে শেষ তথা অষ্টম দফা নির্বাচন। আজ মালদা, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা এবং বীরভূম মিলিয়ে মোট ৩৫টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। বিধানসভা নির্বাচনের অন্তিম লগ্নেও সকাল থেকেই উত্তপ্ত বেশকিছু কেন্দ্র। বিশেষত কলকাতার একাংশ। রণক্ষেত্রে পরিণত হল মানিকতলাও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে শাসক দলের বাক-বিতণ্ডা, বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, সবমিলিয়ে উত্তপ্ত সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্র।
সকালেই বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে মহিলা তৃণমূল কাউন্সিলরের গলা টিপে ধরার অভিযোগ তুলেছিলেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী সাধন পাণ্ডে। বেলা বাড়তেই এবার তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দাগলেন মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোভিড বিধি না মেনে তেলেঙ্গাবাগানে বেআইনি জমায়েত করছিল দলের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হঠাতেই লাঠিচার্জ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। উপরন্তু তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগও ওঠে বাহিনির বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদেই পথে নামলেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে।
ঘটনায় শ্রেয়া পাণ্ডের মন্তব্য, “মারধর করে নির্বাচন করা যায় না। কলকাতার বুকে মানিকতলায় কর্মীদের মারধর করার ঘটনা সহ্য করা হবে না। আমরা দেখে নেব।” অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা জটলা করে মাণিকতলার একাধিক জায়গায় ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে এবং মারধর করছে। বিজেপিপ্রার্থী কল্যাণকে ঘিরে এদিন ‘গো ব্যাক স্লোগান’ও দেয় মমতা শিবিরের কর্মীরা।
এদিকে কল্যাণ চৌবের যাবতীয় অভিযোগের পাল্টা সরব হয়েছেন তৃণমূলপ্রার্থী সাধন পাণ্ডে। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এলাকার মানুষ আমার পরিবার। কল্যাণ চৌবে এক মহিলা কাউন্সিলরের গলা টিপে ধরেছে। এই ধরনের অসভ্য প্রার্থী আমি আগে কখনও দেখিনি।” এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকাজুড়ে। এদিকে তৃণমূলের তরফে আনা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। এককথায় একুশের ভোটপুজোর শেষপর্বও উত্তপ্ত।
Be the first to comment